অনলাইন ডেস্ক,১এপ্রিল।। বিরোধী দলনেতা ভি.ডি সতীসান বৃহস্পতিবার সরকারের নতুন মদ নীতির তীব্র নিন্দা করেছেন। সতীসান বলেন এই নীতি লাগু করার পেছনে একটাই যুক্তি সেটা হল বামেদের অর্থনৈতিক সুবিধা করে দেওয়া।
নজিরবিহীন তোপ দেগে সতীসান আরও বলেন দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে বিজয়ন সরকার আসলে নিজের অহংবোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। আসলে একের পর এক অ্যালকোহলের কাউন্টারকে অনুমতি দিয়ে কোষাগার ভর্তি করাই পিনারাই বিজয়ন সরকারের লক্ষ্য।
কেরলের বিরোধী দলনেতা আরও বলেন বিজয়ন কি ভুলে গিয়েছেন তিনি ২০১৬ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় কি লিখেছিলেন। কেরলে তখন ক্ষমতায় আসে ওমেন চান্ডি সরকার। তৎকালীন সরকার যখন একের পর মদের দোকানের লাইসেন্স প্রদান করছিল তখন বিজয়ন বলেছিলেন তাঁরা ক্ষমতায় আসার পরে এই ভাবে মদের দোকানের বাড়বাড়ন্ত বন্ধে যত্নবান হবেন। অথচ আজ সেই বিজয়ন সরকার কেরলে ঢালাও মদের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। একের পর এক লিকার শপকে দেওয়া হচ্ছে লাইসেন্স।
উল্লেখ্য কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বুধবার রাজ্যের নয়া “ লিকার পলিসি” ঘোষণা করেছেন। আজ শুক্রবার থেকে তা কার্যকর করা হবে।
তবে শুধু কেরলের বিরোধী দলনেতা সতীসানই নয়। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং ভি.এম. সুধীরন বলেন, বামপন্থীদের যুক্তি ছিল যখন মদের সরবরাহ কম ছিল, তখন রাজ্যের লোকেরা মাদকের দিকে ঝুঁকছিল এবং এখন দেখুন, নয়া নীতির মাধ্যমে যেমন মদের প্রচুর সরবরাহ থাকবে এবং মাদকের রমরমাও দেখা যাবে। এই প্রথমবার আইটি পার্কগুলিতে মদের দোকান খোলা হবে। কেরলের বিরোধী দল কংগ্রেসের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ বিজয়ন সরকারের এই “খুল্লামখুল্লা” মদনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। যদিও জ্যের আবগারি মন্ত্রী এম.ভি. গোবিন্দনের সাফাই এই নীতির উদ্দেশ্য ছিল মদের আউটলেটের সামনে ভিড় এড়ানো। পরিসংখ্যান বলছে কেরালায় মদ ব্যবহারকারীদের প্রোফাইল তাতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের ৩.৩৪ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৩২.৯ লক্ষ লোক মদ সেবন করে, যার মধ্যে ২৯. ৮ লক্ষ পুরুষ এবং ৩.১ লক্ষ মহিলা রয়েছে। কেরলে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ মদ খান। এর মধ্যে ১০৪৩ জন মহিলা সহ প্রায় ৮৩৮৫১ জন মদ্যপানে আসক্ত। মদ বিক্রি থেকে প্রাপ্ত করের টাকা রাজ্য সরকারের আয়ের অন্যতম উৎস।