পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার মতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বিহারে

অনলাইন ডেস্ক,১এপ্রিল।। অনেকটা সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার মতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বিহারে। সরকার বিরোধী অবস্থান নিয়ে সরব সিপিআইএমএল (লিবারেশন) বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে বের করে দেওয়া হলো। কয়েকজন জখম হয়েছেন। এই ঘটনার জেরে বিহারের (Bihar)বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।

বিহার বিধানসভায় বিরোধী মহাজোটের দ্বিতীয় বড় শরিক সিপিআইএমএল (লিবারেশন)। দলটির বিধায়করা ও বিরোধী জোটের তরফে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার জন্য বুধবার বিহার বিধানসভায় সময় চাওয়া হয়। অভিযোগ, বিরোধী দলের বিধায়কদ্র কিন্তু সেই সময় দেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবারও আলোচনার জন্য অধ্যক্ষের কাছে দাবি জানান বিরোধীরা। এদিনও বিহার বিধানসভার স্পিকার বিজয় কুমার সিনহা বিরোধীদের সেই দাবিতে কর্ণপাত করেননি।

এর পরেই তাই বিরোধী বিধায়করা বিধানসভায় তুমুল হট্টগোল শুরু করেন। অধিবেশন চলাকালীন ৮ বিধায়ককে বিধানসভার বাইরে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। মার্শালরা ওই বিধায়কদের বেরিয়ে যেতে অনুরোধ করলেও তাঁরা সেই অনুরোধে কর্ণপাত করেননি। শেষ পর্যন্ত ওই ৮ বিধায়ককে চ্যাংদোলা করে বিধানসভার বাইরে বের করা হয়।

সিপিআইএমএল লিবারেশন এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। দলটির কেন্দ্রীয় ও বিহার রাজ্য কমিটি বিবৃতি দিয়ে জানায়, রাজ‍্যের এনডিএ সরকারের “জিরো টলারেন্স” দাবি আসলে পুরোটাই মিথ‍্যা। এ প্রসঙ্গে বিধানসভায় গণতান্ত্রিক বিতর্ক চাওয়ায় সিপিআই(এমএল) বিধায়কদের যেভাবে মার্শাল দিয়ে বের করে দেওয়া হল তা গণতন্ত্রকেই উপহাসে পর্যবসিত করে। “

লিবারেশনের অভিযোগ, বিহারের মু়খ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। সিপিআই (এমএল) বিধায়ক বীরেন্দ্র গুপ্তা বলেছেন, বিহারে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আলোচনা তো দূরের কথা, সরকার মার্শাল দিয়ে আমাদের বের করে দিয়েছে। নীতীশ সরকার বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?