অনলাইন ডেস্ক, ২৯ মার্চ।। রাজনৈতিক অস্পৃশতা কে দূরে সরিয়ে নয়া রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে দিল্লিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের নিয়ে গড়ে উঠবে নয়া সংগ্রহশালা।এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তবে নেহেরু মিউজিয়াম কে কেন পিএম সংগ্রহালয়ের জন্য বেছে নেওয়া হল। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক।স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর সরকারি বাসভবন ছিল তিনমূর্তী ভবন। যেখানে পরবর্তীতে নেহরু সংগ্রহশালা এবং গ্রন্থাগার তৈরি হয়। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব মোদি সরকারের এই সিন্ধান্তের বিরুদ্ধে স্পষ্টতই প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখছেন। দিল্লিতে কি জায়গা কম পড়েছিল সেই জন্য তিনমূর্তী ভবন বা নেহেরু মিউজয়ামকেই প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয়ের জন্য বেছে নিতে হল। এবং কেন্দ্রীয় সরকারের চিরায়ত নাম পরিবর্তনের সংস্কৃতি মেনে নামও পরিবর্তন করা হয়েছে। কংগ্রেসের তরফে আরও অভিযোগ করা হয়েছে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর অবদানকে খাটো করে দেখানোর উদ্দেশ্যেই এই হেন পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার।
মঙ্গলবার বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে এই সিন্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মোদি।নেহেরু মিউজিয়ামের নাম বদলে এই নয়া মিউজিয়ামের নামকরণ করা হবে প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয় বা পি এম মিউজিয়াম। আগামী ১৪ এপ্রিল আম্বেদকর জন্মজয়ন্তীর দিনে এই পিএম মিউজিয়ামের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ।
বিগত ১৪ জন প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য তাঁদের কাজের মধ্যে দিয়ে যে অবদান রেখে গিয়েছেন সেটাই তুলে ধরা হবে এই মিউজিয়ামে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদি দলীয় সংসদীয় বৈঠকে আরও বলেন কেবলমাত্র এনডিএ সরকারই পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রীদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এই হেন পদক্ষেপ নিয়েছে।
এইদিন সংসদীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্ব্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ।