অনলাইন ডেস্ক, ২৯ মার্চ।। মঙ্গলেই অমঙ্গল অনুব্রতর! একে বগটুই গ্রামের গণহত্যা তদন্তে নাকের ডগায় সিবিআই ঘুরছে। এবার আবার গরু পাচার মামলায় রক্ষাকবচ পাওয়ার আবেদন নাকচ করল আদালত। এরপর কী হবে তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের? কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পর বীরভূম জুড়ে তুমুল আলোড়ন। রাজ্যে চাঞ্চল্য।
বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহল বলছে, ‘সিঁটিয়ে আছেন কেষ্ট দা’ (অনুব্রত মণ্ডল)। অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন তিনি। দাদার শরীর সবসময় ভালো যায় না।
আগেই টিএমসি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, কেষ্টর মাথায় অক্সিজেন কম যায়!
গরু পাচার মামলায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত মণ্ডল রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদন করেন। তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, তদন্তে সাহায্য করতে প্রস্তুত তাঁর মক্কেল, যেন কঠোর পদক্ষেপ না করা হয়। অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছিলেন, গরু পাচার মামলায় তদন্তে সহযোগিতা করতে রাজি। অসুস্থতার কারণে কলকাতায় সিবিআই দফতরে গিয়ে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়।
আগে যতবার সিবিআই ডেকেছে অসুস্থতা বেড়েছে অনুব্রতর। অভিযোগ, সিবিআই জেরা এড়াতে তিনি অসুস্থতার অছিলা করছেন। মঙ্গলবার আদালত সিদ্ধান্ত নিল রক্ষাকবচ দেওয়া হবে না। সিবিআই আইনজীবী বারবার দাবি করেন, অনুব্রত মণ্ডলের জেরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এর মাঝে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে গত সোমবার গণহত্যা সংঘটিত হয়। এর তদন্তের জন্য সিবিআই ঢুকেছে বীরভূমে। তদন্তের স্বার্থে অনুব্রত মণ্ডলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। গোটা ঘটনায় টিএমসির জেলা সভাপতির নাম বারবার আসছে। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে হামলাকারীদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে।