স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৯ মার্চ।। সমাজকে উন্নত করতে হলে সাংস্কৃতিক উন্নতি প্রয়োজন। নিজের সংস্কৃতি থেকে যেন কোনও সমাজ সরে না যায় তার জন্য প্রত্যেকটি মানুষই দায়বদ্ধ। বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে প্রজনা থেকে প্রজন্মের কাছে নিজস্ব সংস্কৃতিকে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমেই যে কোনও সমাজের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করা সম্ভব। আজ নারায়ণখামারস্থিত দুর্গাপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বসন্ত উৎসব উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণ দেববর্মা। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং ডুকলি পঞ্চায়েত সমিতির যৌথ উদ্যোগে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যে কোনও জাতি বা ধর্মের মানুষ তাদের উৎসব যেন উৎসবের মেজাজে করতে পারে সেজন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বসন্ত উৎসব একটি ঐতিহ্যপূর্ণ উৎসব। রাজন্য আমলে রাজবাড়িতে বসন্ত রাস উৎসব হতো। তাই এই উৎসবের সাথে রাজ পরিবারের পারিবারিক ও সাংস্কৃতিক টান রয়েছে। ত্রিপুরাতে মিশ্র সংস্কৃতি বিরাজ করে। এখানে হিন্দু, মুসলমান, জাতি-জনজাতি সকল অংশের মানুষ বর্তমান সরকারের সময় তাদের উৎসব অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক রীতিনীতি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে পারছে।
তিনি আরও বলেন, ভারতবর্ষ মানেই হলো গ্রাম, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য। সেটাই আমাদের সম্পদ। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতবর্ষের প্রতিটি গ্রামের স্থাপনা দিবস পালন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান অতিথি সমবায়মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল বলেন, এই উৎসব অনুষ্ঠানটি বিশেষত মণিপুরী সমাজ গোষ্ঠীর লোকেরাই আয়োজন করে থাকে। তাতে সকল জাতি ও ধর্মের লোক অংশগ্রহণ করে একে সার্বজনীন রূপ দিয়েছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন আগামীদিনে এই উৎসব আরও বড় আকারে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের আর্থিক সহযোগিতার কথাও তিনি অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ডুকলি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান অজয় কুমার দাস। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সদস্য ভুলন সাহা, ডুকলি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নারায়ণ চক্রবর্তী এবং চৌমুহনিবাজার পঞ্চায়েতের প্রধান মানিক সরকার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডুকলি ব্লকের বিডিও বিপুল দাস। অনুষ্ঠান উপলক্ষে স্থানীয়দের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়।