স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৮ মার্চ।। জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক বিষয়ে প্রজ্ঞাভবনে দুদিন ব্যাপী কর্মশালার সূচনা প্রজ্ঞাভবনে নীতি আয়োগ এবং রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা (পরিসংখ্যান) দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আজ থেকে শুরু হয়েছে দুদিন ব্যাপী রাজ্যভিত্তিক কর্মশালা।
কর্মশালার বিষয়বস্তু ছিল- এনইআর ডিস্ট্রিক্ট এসডিজি ইনডেক্স ২০, এসডিজি ইন্ডিয়া ইনডেক্স ৪.০ এন্ড ন্যাশনাল মাল্টিডাইমেনশনাল পোভার্টি ইনডেক্স। দুদিন ব্যাপী এই রাজ্যভিত্তিক কর্মশালায় প্রধান অতিথি তথা উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিসিসিএফ ড: ডি কে শর্মা।
বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিকল্পনা ও সমন্বয় দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, পরিসংখ্যান দপ্তরের সচিব মহম্মদ জুবায়ের আলি হাসমি, ইউএনডিপির রিজিওনাল হেড জন বর্গোইয়ারি সহ অন্যান্য আধিকারিকগণ। কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিসিসিএফ ড: ডি কে শর্মা বলেন, দেশে স্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে সমস্ত ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গ্রামীন এলাকাগুলিকে আরো শক্তিশালী করার পরিকল্পনা ২০১৬ সাল থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
গ্রামোদয় থেকে ভারত উদয় এই ভাবনাকে সামনে রেখে কাজ চলছে। ডঃ শর্মা আরো বলেন, ভারতবর্ষ এসডিজি (সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস) -এর সমস্ত লক্ষ্যমাত্রা অনুসরণ করছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরা এসডিজি’র ক্ষেত্রে সামনের সারিতে রয়েছে। আগামীতে আরো এগিয়ে যাবে রাজ্য। কেন্দ্রীয় নীতি আয়োগ এবং রাজ্য সরকারও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করে চলেছে।
অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে পরিকল্পনা ও সমন্বয় দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায় বলেন, ২০১৫ সালে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ এসডিজি কর্মসূচি গ্রহণ করে। এরপর ভারত সহ অন্যান্য রাষ্ট্রগুলি এসডিজি অনুসরণ করা শুরু করে। এর অন্যতম লক্ষ্যই হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য মুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলা এবং প্রত্যেক মানুষকে শান্তি সম্প্রীতির সহাবস্থানের ব্যবস্থা করা। দেশের বিভিন্ন রাজ্য সরকার এসডিজি অনুসরণ করে কাজ করছে। এক্ষেত্রে ত্রিপুরাও সামনের দিকে রয়েছে। দুদিন ব্যাপী কর্মশালায় কি নোট স্পিকার হিসেবে অংশ নিয়েছেন নীতি আয়োগের পক্ষ থেকে এসডিজি এসোসিয়েট মীমানসা মিশ্র, এসডিজি অফিসার সৌম্য গুহ এবং ইয়ং প্রফেশনাল সাক্ষী গুপ্তা।