পুতিন বড় ভুল করেছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ন্যাটোর প্রধান

অনলাইন ডেস্ক, ২৪ মার্চ।। ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বড় ভুল করেছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ন্যাটোর প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ। বৃহস্পতিবার ন্যাটোর সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।

সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে তিনি বলেন, একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে হামলা চালিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অনেক বড় ভুল করছেন। পুতিন ইউক্রেনের মানুষ ও সেনাদের শক্তি-সাহসকে অবমূল্যায়ন করছেন।

স্টলটেনবার্গ আরও বলেন, আলোচনার মাধ্যমে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের নেতারা দীর্ঘমেয়াদে এটির প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষার বিষয়গুলো নতুনভাবে সাজানোর বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন।

এসময় তিনি আরও হুঁশিয়ারি দেন যে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া যদি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে তাহলে তা ন্যাটো অঞ্চলেও দূষণের কারণ হবে এবং রাসায়নিক অস্ত্রের যেকোনো ব্যবহার মৌলিকভাবে সংঘাতের গতি-প্রকৃতিকে বদলে দেবে। এটি আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন হবে, এবং এর পরিণতি ব্যাপক এবং গুরুতর হবে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এ অভিযানের অংশ হিসেবে স্থল, আকাশ ও পানিপথে ইউক্রেনে হামলা চালানো হচ্ছে।

অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন এক কোটি ইউক্রেনীয়।

আজ ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন ২৯তম দিনে গড়িয়েছে। গত মাসে রাশিয়া ইউক্রেনের মাত্র একটি বড় শহর দখল করতে পেরেছে- খেরসন। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার এক মাসের মাথায় রুশ সৈন্যরা বড় কোন শহর দখল করতে পারেনি। একমাত্র খেরসন শহরের পতন হয়েছে।

মারিওপোল এবং খারকিভ শহর দখলের জন্য রুশ বাহিনী সেখানে তাদের গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান কার্যত গত দুই সপ্তাহ ধরেই স্থবির হয়ে আছে।

যুদ্ধের এক মাসের মাথায় এসে সংবাদদাতারা বলছেন, ইউক্রেনের সৈন্যরা কোথাও কোথাও রুশ বাহিনীর ওপর পাল্টা হামলা চালাচ্ছে এবং খবরে বলা হচ্ছে যে রাজধানী কিয়েভের কাছে কিছু এলাকায় তারা পুনরায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।

কিয়েভের পশ্চিমে মাকারিভ শহরের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে ওই শহরে তারা আবারও ইউক্রেনের পতাকা উড়াতে সক্ষম হয়েছে।

একজন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক বিবিসিকে বলেছেন, ইউক্রেনের এই পাল্টা লড়াই-এর শক্তির কারণে রাশিয়া তার রণকৌশল পরিবর্তন করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন মুখপাত্রও বলেছেন যে দেশটির দক্ষিণের কিছু কিছু অংশে ইউক্রেনের সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্রের গতি উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে।

দক্ষিণের ছোট্ট একটি শহর ভজনেসেন্সকে ইউক্রেনের সৈন্য ও স্বেচ্ছাসেবীরা রাশিয়ার সাঁজোয়া বহর ধ্বংস করে তাদেরকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে।

ক্রিমিয়ার কাছে যে খেরসন শহরটি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সর্বপ্রথম রাশিয়ার দখলে চলে গিয়েছিল সেটি ফিরে পাওয়ার জন্য ইউক্রেনের সৈন্যরা তুমুল লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?