অনলাইন ডেস্ক, ২৩ মার্চ ।। দেখতে দেখতে ২৮ দিনে পা দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এখনও লড়াই থামার কোনও নাম নেই। অবিশ্বাস্য প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেন। এমন পরিস্থিতিতে আরেকজন শীর্ষ রুশ কমান্ডার মারা গেলেন এই যুদ্ধে।
মঙ্গলবার কর্নেল আলেক্সেই শারভ নামের ওই সেনা কমান্ডারের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে রাশিয়া মোট ৫ জন কর্নেলকে হারালো।
এই নিয়ে পুতিনের শীর্ষস্থানীয় সামরিক নেতাদের মধ্যে ১৫ জন ইউক্রেনের হামলায় নিহত হলেন। যা পুতিনের কাছে খুব বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোনো লড়াইয়ে এতজন কমান্ডারকে হারানোর ঘটনা রাশিয়ার সঙ্গে আর কখনও ঘটেনি।
ইউক্রেন যুদ্ধে শুধু জেনারেল পদেরই ৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে হারিয়েছে রাশিয়া। স্বাভাবিক ভাবেই এই যুদ্ধে রাশিয়াকে কতটা কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে তা বোঝাতে এই উদাহরণ যথেষ্ট।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। মুখে পুতিন বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিলেও সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে সেনা পাঠাতে অস্বীকার করে আমেরিকা ও ন্যাটো। তাদের আশঙ্কা ইউক্রেনে সেনা পাঠালে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে ন্যাটো। অর্থাৎ ময়দানে জেলেনস্কিকে একাই বিশাল রুশ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। আর ইউক্রেনের সেনার জন্য পরিস্থিত যে ক্রমে জটিল হয়ে উঠছে তা স্পষ্ট।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, রাশিয়ার ইউক্রেন দখল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। হামলার দ্বিতীয় দিনেই কিয়েভের খুব কাছেই পৌঁছে গিয়েছিল রুশ বাহিনী। কিন্তু ইউক্রেনও লাগাতার প্রতিরোধ গড়ায় এখনও পুতিনের পক্ষে যুদ্ধজয়ের কাছাকাছি পৌঁছনো সম্ভব হয়নি।
এদিকে যুদ্ধে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে সেই সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে সাক্ষাৎকার দেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। সাক্ষাৎকার চলাকালীন সাংবাদিক ক্রিশ্চিয়ান আমানপোর প্রশ্ন করেন পেসকভকে, ‘আপনি কি নিশ্চিত যে ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে তৈরি পরিস্থিতিতে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবেন না পুতিন?’
উত্তরে ক্রেমলিনের মুখপাত্র তথা প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত পেসকভ বলেন, ‘অস্তিত্বের সংকটে পড়লে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া। দেখুন, জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের যে নীতি বা ধারণা রয়েছে তা সবাই জানে। এবং সেখানে আঘাত এলে আণবিক অস্ত্র ব্যবহারের যথেষ্ট কারণ থাকতে পারে’।
পেসকভের এহেন মন্তব্য ঘিরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।