অনলাইন ডেস্ক, ২৩ মার্চ।। নাভালনি দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের কট্টর বিরোধী। মাঝখানে তাকে বিষ দিয়ে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। তিনি জার্মানিতে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হন। রাশিয়া ফিরে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আড়াই বছরের কারাদণ্ড হয়। নাভালনি এখনো জেলেই আছেন।
এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার আদালত তাকে জালিয়াতি ও আদালত অবমাননার দায়ে নয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে ১২ লাখ রুবল বা ১১ হাজার ৫০০ ডলার জরিমানাও দিতে হবে।
নাভালনি ও তার সমর্থকরা বলেছেন, এই রায় রাজনৈতিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মানবাধিকার সংস্থাগুলির অভিযোগ, জেলে নাভালনির উপর অত্যাচার করা হয়। নাভালনিও একই কথা বলেছেন।
ইনস্টাগ্রামে বিবৃতি দিয়ে নাভালনি বলেছেন, পুতিন আসলে সত্যকে ভয় পাচ্ছেন। তিনি চান না, সত্য প্রকাশিত হোক। রাশিয়ার মানুষ তা জানুক। তাই তিনি সমানে সেন্সরশিপ চালিয়ে যাচ্ছেন। আর তারা সত্যকে প্রকাশ করতে চাইছেন।
নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে বলেছেন, ‘নয় সংখ্যাটা আমার কাছে অর্থহীন। আমি তোমায় ভালোবাসি। তুমিই আমার প্রিয়তম মানুষ। এই এতগুলো বছরে আমি তোমার জন্য শুধু গর্ববোধই করেছি’।
নাভালনির শাস্তি ঘোষণার পর তার দুই আইনজীবীকে পুলিশ কিছুক্ষণের জন্য আটক করেছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
ওদিকে এই রায়ের পর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ‘রাশিয়া নাভালনি সহ সব বিরোধী কণ্ঠস্বর চুপ করাতে চাইছে। ক্রেমলিন বছরের পর বছর ধরে নাভালনির বিরুদ্ধে এই ধরণের আচরণ করে যাচ্ছে। নাভালনির অপরাধ তিনি সরকারের কাজে স্বচ্ছ্বতা ও দায়বদ্ধতা চেয়েছেন’।
জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে এই শাস্তির নিন্দা করেছে। তারা অবিলম্বে নাভালনির মুক্তি দাবি করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এটা একটা খামখেয়ালী রায়। রাশিয়ার বিচারব্যবস্থা রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে অন্যায় ব্যবস্থা নিচ্ছে। নাভালনি তারই এক উদাহরণ’।