অনলাইন ডেস্ক, ১মার্চ ।। ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রাশিয়ার হামলায় অনেকে নিহত ও আহত হয়েছে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আন্তন হেরাশচেঙ্কো তার ফেসবুকে লিখেছেন, মস্কো বাহিনী গ্রেড মিসাইলসহ আবাসিক এলাকায় বোমাবর্ষণ করেছে। এতে অনেকে নিহত এবং শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে।
তিনি লেখেন, সমগ্র বিশ্বের এই বিভৎসতা দেখা উচিত, কীভাবে দখলদাররা মানুষ হত্যা করছে। খবর বিবিসি।
গার্ডিয়ান জানায়, সোমবার সকালে রাশিয়ান বাহিনী খারকিভে গোলাবর্ষণ করে। রয়টার্সও সোমবার স্থানীয় সময় সকালে খারকিভে বোমাবর্ষণের শব্দ পাওয়া গেছে বলে খবর দেয়।
ইউক্রেনে এ পর্যন্ত কতজন সাধারণ নাগরিক হতাহত হয়েছে তার পরিষ্কার কোনো তথ্য নেই।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মিশেল ব্যাচেলট সোমবার জানিয়েছেন এ পর্যন্ত ১০২ ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩০৪ জন।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ সাধারণ ইউক্রেনীয়ের মৃত্যু হয়েছে বিধ্বংসী অস্ত্র যার মধ্যে রয়েছে কামান থেকে নিক্ষেপিত গোলা, রকেট হামলা ও আকাশ পথে হামলার কারণে। বিস্তৃত এলকাজুড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, আমার আশঙ্কা প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা আরো বেশি।
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে জল, স্থল ও আকাশপথে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেন রুশ সৈন্যরা। অভিযান শুরুর তৃতীয় দিন গতকাল ইউক্রেনের দক্ষিণের জাপোরিঝঝায় অঞ্চলের মেলিটপোল শহর দখল করে নেন রুশ সৈন্যরা। বাকি তিনটি শহর হলো নোভা কাখোভকা, খেরশন ও বারদিয়ানস্ক।
রবিবার খারকিভে প্রবেশ করে রাশান সৈন্যরা। তারা সেখানকার গ্যাস সরবরাহ লাইনে বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে রোববারই রাশিয়ার সেনাদের খারকিভ থেকে হটিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন। স্থানীয় গভর্নর ওলেহ সিনেগুভ এক টেলিগ্রাম বার্তায় এ ঘোষণা দেন বলে রয়টার্স জানায়।
ওই বার্তায় বলা হয়, খারকিভের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এখন আমাদের। সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, প্রতিরক্ষা বাহিনী এখন কাজ করছে এবং হর পুরোপুরি শত্রুমুক্ত হয়েছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, সমঝোতায় পৌঁছাতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল বেলারুশ সীমান্তে বৈঠকে বসেছে।