অনলাইন ডেস্ক, ২৮ ফেব্রুয়ারী।। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের বৈঠকের খবরে আশাবাদ ব্যক্ত করেছ জাতিসংঘ ও ন্যাটো।জাতিসংঘের অ্যাম্বাসেডর লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড রবিবার যুক্তরাষ্ট্র স্থানীয় সকালে সিএনএনকে বলেন, ওই আলোচনার ফলাফল কী হয় সে দিকে আমরা নজর রাখব।
তিনি বলেন, যতদূর আমরা জানতে পেরেছি..আমরা পুরো প্রক্রিয়াজুড়েই রাশিয়ার সঙ্গে একটা কূটনৈতিক বোঝাপড়া চেয়েছি। এখন আমরা আশা করি পুতিন সমঝোতার একটা জায়গা পাবেন যদিও তিনি কূটনীতির চেয়ে আগ্রাসনের পথে যাওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।
এই বৈঠক রাশিয়ার দিক থেকে ইতিবাচক একটি পদক্ষেপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি পুতিনের মগজে প্রবেশ করতে পারব না বা রাশিয়ার মনে কী আছে তা জানতে পারব না, যে কারণে এই আলোচনা একটা সুযোগ তৈরি করেছে।
রন্যাটো সেক্রেটা জেনারেল জেনস স্টোলেনবার্গ কেটি টিভি চ্যানেলকে বলেম প্রেডিসেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্পূর্ণ সঠিকভাবে আস্থার সঙ্গে বৈঠকে বসে রাজনৈতিক সমাধানের পথ বেছে নিয়েছেন।
তবে তিনি বলেন, এখন দেখার বিষয় যে রাশিয়া আসলেই আপস করতে চায় কি না এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা দেখায় কি না। তবে তিনি ভ্লাদিমির পুতিনের পারমাণবিক অস্ত্র বিষয়ে নতুন নির্দেশের সমালোচনা করে একে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে অভিহিত করেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরামাণবিক অস্ত্রের তদারকিতে নিয়োজিত বাহিনীকে সতর্ক থাকার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। রোববার টেলিভিশনের এক ভাষণে রুশ বাহিনীর জ্যেষ্ঠ জেনারেলদের উদ্দেশে পুতিন বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার প্রতি বৈরী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ‘বেআইনি নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করেছে। এ দিকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইউক্রেন সম্মত হয়েছে।
তবে তারা কোনো পূর্বশর্ত মানতে রাজি নয়। বেলারুশ প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আলোচনার পর এক বার্তায় এমনটাই বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে জল, স্থল ও আকাশপথে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেন রুশ সৈন্যরা।
অভিযান শুরুর তৃতীয় দিন গতকাল ইউক্রেনের দক্ষিণের জাপোরিঝঝায় অঞ্চলের মেলিটপোল শহর দখল করে নেন রুশ সৈন্যরা। বাকি তিনটি শহর হলো নোভা কাখোভকা, খেরশন ও বারদিয়ানস্ক। রবিবার খারকিভে প্রবেশ করে রাশান সৈন্যরা। তারা সেখানকার গ্যাস সরবরাহ লাইনে বিস্ফোরণ ঘটায়। খারকিভের বিভিন্ন অংশে রাশিয়ান ট্যাংক ও যুদ্ধ যান দেখা যায়। এ সময় গোলার শব্দও শোনা যায়। ইউক্রেন সরকার কয়েকটি ভিডিওতে জ্বলন্ত রাশিয়ান যুদ্ধযানের তথ্য জানায়।