অনলাইন ডেস্ক, ২৮ ফেব্রুয়ারী।। হিন্দুদের একটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য উত্সব হল মহাশিবরাত্রি। বার্ষিক এই ধর্মীয় উত্সব প্রতি বছর মহা আড়ম্বরে পালন করেন শিবভক্তেরা। মহাশিবরাত্রি হল আসলে মহাদেব ও পার্বতীর মিলন উত্সব। এদিন পূণ্যার্থীরা কঠোর ভাবে উপবাস পালন করেন। এছাড়া ধর্মীয় নানা ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে মহাদেবকে তুষ্ট করা হয়।
মহাশিবরাত্রিতে কঠোর ভাবে উপবাস পালনের রীতি রয়েছে। এদিন শিবলিঙ্গের রুদ্র অভিষেক পুজো করা হয়। জল, দুধ, মধু, আখের রস ও দই দিয়ে শিবলিঙ্গের পুজো করা হয়। এছাড়া ধূত্র ফুল এবং ফল মহাদেবের অভিষেকের জন্য অবশ্যই দিতে হয়।
বিবাহিতা মহিলারা মহাশিবরাত্রিতে স্বামীর মঙ্গল কামনা করে উপবাস রেখে পুজো করেন। অবিবাহিতা মহিলারা শিবের মতো স্বামীর পাওয়ার প্রার্থনা করে এদিন উপবাস রেখে পুজো অর্চনা করেন। মহাদেবের ভক্তেরা এদিন নির্জলা উপবাস রাখেন। পুরাণ অনুসারে এদিনই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মহাদেব ও পার্বতী। মহাশিবরাত্রির দিন নির্জলা উপবাস রেখে থাকে শিবভক্তেরা। তারপর রাতে পালন করা হয় নিশিতা কাল। রাতে প্রহরে প্রহরে শিবের পুজো করতে হয়। গোটা রাত জেগে মহাদেবের আরাধনা করেন ভক্তরা। পরের দিন উপবাস ভঙ্গ করার প্রথাকে বলা হয় পরানা।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এদিন সকাল থেকেই শিব মন্দিরগুলিতে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে। ওম নমঃ শিবায় মন্ত্রোচ্চারণের সঙ্গে ভোর থেকেই মন্দিরগুলির বাইরে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন পূণ্যার্থীরা।
মহাশিবরাত্রি ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয়। মহাশিবরাত্রি হল হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ আরাধ্য দেবাদিদেব মহাদেব ‘শিবের মহা রাত্রি’। অন্ধকার আর অজ্ঞতা দূর করার জন্য এই ব্রত পালিত হয়। অগণিত ভক্ত এইদিন শিবলিঙ্গে গঙ্গাজল, দুধ, বেলপাতা, ফুল দিয়ে পূজা করে থাকে। চার প্রহর চারবার শিব পুজো করতে হয়। প্রথম প্রহরে দুধ দিয়ে শিবলিঙ্গ কে স্নান করিয়ে শিব পুজো করার নিয়ম।
দ্বিতীয় প্রহরে দই দিয়ে শিবলিঙ্গ কে স্নান করিয়ে দ্বিতীয় প্রহরে ঘি দিয়ে শিবলিঙ্গকে স্নান করিয়ে আর চতুর্থ প্রহরে শিব লিঙ্গে মধু দিয়ে স্নান করে পুজো করাতে হবে। এইভাবে প্রত্যেক প্রহরেই শিব পুজো করা হয়।