অনলাইন ডেস্ক, ২৮ ফেব্রুয়ারী।। প্রত্যেক ব্যাক্তি জীবনে শিক্ষকের গুরুত্ব অপরিসীম। ভারতীয় সভ্যতায় শিক্ষককে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের সাথে তুলনা করা হয়। শিক্ষককে ‘দ্বিতীয় পিতা’ বলে অভিহিত করা হয়।
এরকম একজন মহান শিক্ষক হলেন খান স্যার। খুব কম লোকই আছেন যারা খান স্যারকে চেনেন না। যদিও এই শিক্ষকের প্রকৃত নাম যথেষ্ট বিতর্কিত। কেউ বলেন তার নাম ফ্যায়সাল খান আবার কেও বলেন তার নাম অমিত সিং।
খান স্যারের জন্ম উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর জেলায়। তার দাদা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে একজন কামান্ডো। তিনিও সেনাবাহিনী যোগ দিতে চেয়েছিলেন। তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমী পরীক্ষায় পাশও করেছিলেন।
কিন্তু তার শারীরিক ত্রুটির কারণে তিনি নির্বাচিত হতে পারেননি। এরপর তিনি একদিন বিহারের পাটনা গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি কম পারিশ্রমিকে কোচিং খুলে গরীব দুঃস্থ শিশুদের পড়ানোর কথা ভাবেন।
পরবর্তীকালে তার পড়ানোর শৈলীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এত স্টুডেন্ট আসে। যার ফলে তার কোচিং সেন্টারে জায়গার অভাব দেখা দেয় এবং তিনি অনলাইনে পড়ানোর কথা ভাবেন।
এজন্য তিনি ইউটিউব এর মত বিরাট প্লাটফর্মকে বেছে নেন। করোনাকালে যখন সমস্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ ছিল। তখন তাৎক্ষণিক ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলিকে সবার সামনে তুলে ধরেন।
তারপর পড়ানোর শৈলির প্রতি ছাত্রছাত্রীরা এত আকৃষ্ট হয় যে ভিডিও তার ভিওয়ার আজকে এক কোটি ছাড়িয়েছে। 2019 সালে তিনি খান জি এস রিসার্চ সেন্টার নামে একটা ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেন।
যার গ্রাহক আজকের 12.3 মিলিয়ন ছাড়িয়েছে। শুধু ভারতেই নয় বিদেশেও কোটি কোটি মানুষ খান স্যারের ভিডিও দেখেন। খান স্যারের কাছে বড় বড় ইনস্টিটিউশন থেকে মোটা টাকার প্যাকেজ এসেছিল।
যাতে তিনি সেই সব ইন্সটিটিউশনে গিয়ে পড়ান। কিন্তু তিনি সেই লোভে আকৃষ্ট না হয়ে নিজের স্বাধীনভাবে পড়ানোটাই বেছে নেন। একটা শিশু থেকে শুরু করে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার্থী পর্যন্ত সবাই খানের ভিডিওর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে।
কারণ স্যারের ব্যাখ্যা করার ও বোঝানোর ধরন সত্যিই অনন্য। তিনি ইউটিউব থেকে বার্ষিক 50 লাখ থেকে 2 কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। শোনা যায় গত বছর নাকি তিনি বিয়েও করেছেন। আমাদের এই দেশে খান স্যারের মতো মহান শিক্ষকের সত্যিই প্রয়োজন আছে এবং তিনি শিক্ষক হিসেবে ভারতের গর্ব।