অনলাইন ডেস্ক, ২৫ ফেব্রুয়ারী।। নিজেদের জমি না ছেড়ে কৃষ্ণ সাগরের ছোট্ট দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ডের ১৩ সীমান্তরক্ষী প্রাণ দিলেন রাশিয়ার বোমার আঘাতে। এর আগে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালেও তারা শত্রুদের কাছে মাথা নত করেননি।
ওই প্রহরীদের জাতীয় বীরের সম্মান জানানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ থেকে তাদের অস্ত্র নামাতে বলা হয়। কিন্তু রক্ষীরা প্রাণদানকে বেছে নেন। ওই সময়ের কথোপকথন টিকটক, টুইটারসহ একাধিক অনলাইন মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
রাশিয়ার জাহাজ থেকে ইউক্রেনের প্রহরীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, আপনাদের অস্ত্র সমর্পণ ও আত্মসমর্পণের পরামর্শ দিচ্ছি। অন্যথায় আমরা গুলি করবো। এমন ঘোষণার পর প্রহরীদের ‘তবে তাই’ বলতে শোনা যায় ভাইরাল অডিওতে। আরও বলেছিলেন, ‘রাশিয়ান ওয়ারশিপ, গো ফা* ইয়োরসেলফ’।
এরপর তাদের উদ্দেশ্যে বোমা ছুড়ে রাশিয়ান বাহিনী। মারা যান ১৩ জনের সবাই। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রক্ষী সাহসিকতার প্রশংসা করে জানান, তাদের মরণোত্তর যুদ্ধ বীর সম্মাননায় ভূষিত করা হবে। তিনি বলেন, আমাদের দ্বীপ রক্ষা করতে সীমান্তরক্ষীরা বীরত্বের সঙ্গে মারা গেছেন। কিন্তু হাল ছাড়িনি। তাদের সবাইকে মরণোত্তর ইউক্রেনের বীর উপাধিতে ভূষিত করা হবে।
যারা ইউক্রেনের জন্য জীবন দিয়েছেন তারা চিরস্মরণীয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে আক্রমণ শুরু হয়। বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির কারণে ইউক্রেনের প্রধান শহরগুলো থেকে ইতিমধ্যে লাখখানেক মানুষ পালিয়ে গেছে।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটি কোনো ইউরোপীয় রাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় আক্রমণ।
রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হওয়া রাশিয়ান বাহিনীর সঙ্গে ‘একা’ লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে শুক্রবার মন্তব্য করেন জেলেনস্কি। তিনি জানান, যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৩৭ জন সামরিক ও বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে শতাধিক। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এর আগে অন্তত ৭০ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।