অনলাইন ডেস্ক, ১৮ ফেব্রুয়ারী।। হিজাব নিয়ে বিতর্কের মাঝেই সিঁদুর নিয়ে নিয়েও আপত্তি উঠল। কপালে সিঁদুরের তিলক পরে কলেজ ঢুকতে চেয়েছিল ওই পড়ুয়া।
কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই পড়ুয়াকে ক্লাসে ঢুকতে দেয়নি। এই ঘটনায় বেজায় চটেছে বজরং দল। তারা কর্ণাটকের বিজওয়ারার পিইউসি কলেজের গেটে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল ।
কলেজে কর্তৃপক্ষ বলেছিল সিঁদুর মুছলে তবে তাকে কলেজে ঢুকতে দেওয়া হবে। ছেলেটি রাজি না হয়ে বাড়ি ফিরে যায়। বজরং দল ছেলেটির পাশে দাঁড়িয়েছে।
রামসেনা প্রধান প্রমোদ মুতালিক বলেছেন, বিক্ষোভ দেখানো ঠিক কাজ হয়েছে।হিজাব নিয়ে চলছে ব্যাপক বিতর্ক। কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। টাইমিংটাও ভালো। নির্বাচন চলছে।
সবার নজর রয়েছে ইউপির দিকে। এমন পরিস্থিতে হিজাবের মত হাতে গরম বিতর্ক যে বাড়তি মাত্রা পাবে সেটা স্বাভাবিক। সেটাই হচ্ছে। প্রমোদ মুতালিক বলেছে। সিঁদুর ধর্মীয় প্রতীক নয়। এটি ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতীক।
ধর্মীয় প্রতীক বলে উল্লেখ করে এই সিঁদুর পড়া কোনভাবেই বন্ধ করা যায় না। মুতালিক আরও বলেন, ভারতের সভ্যতার নাম ছিল সিন্ধু সভ্যতা। এখানে মহিলা-পুরুষ সকলেই সিঁদুর পড়তেন।
এইভাবে সিঁদুর ববন্ধ করা যায় না। মুথালিক কলেজ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে করা ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। হিজাব মামলার রায় না হলেও, হিজাব বন্ধের জন্য তাড়াহুড়ো পরে গিয়েছে একদলের।
অনেকের দাবি ভোট মিটলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। প্রশ্ন উঠছে মুসলিমদের ক্ষেত্রেই এমনটা করা হয় কেন ? আদালতের রায় বের হওয়ার অপেক্ষা না করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি যা করছে তাতে ধর্ম নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক এদেশে মুসলিমরা অনেকেই অসহায় বোধ করছেন। এমনটাই বলছেন অনেকে।