Bappi Lahiri: কোটি কোটি ভক্ত, অনুরাগী ছাড়াও কত টাকার স্বর্ণ-সম্পত্তি রেখে গেলেন বাপ্পি লাহিড়ী?

 

অনলাইন ডেস্ক, ১৮ ফেব্রুয়ারী।। চলে গেলেন ভারতীয় উপমহাদেশে তুমুল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী। তিনি পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিলেও রেখে গেছেন কোটি কোটি ভক্ত, অনুরাগী রেখে গেছেন।

সেই সঙ্গে রেখে গেছেন বিপুল পরিমাণ সম্পদ। তার সংগ্রহে ছিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সোনা। ২০১৪ সালে ভারতে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন এ সঙ্গীত শিল্পী।

সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনকে হলফনামায় তিনি জানিয়েছিলেন, ৭৫৪ গ্রাম সোনা এবং ৪ দশমিক ৬২ কেজি রুপার গয়না রয়েছে তার কাছে।

২০১৪ সালে তিনি জানিয়েছিলেন, তার সোনার গয়নার বাজারমূল্য ৪০ লাখ টাকা। তার রুপার গয়নার বাজারমূল্য ছিল দুই লাখ ২০ হাজার টাকা। মোট ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি ছিল তার।

তবে আট বছরে যে তার গয়না ও সম্পদের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল, তা বলাবাহুল্য।বাপ্পি লাহিড়ী সিনেমার গান করার পাশাপাশি একাধিক রিয়েলিটি শো-র বিচারক ছিলেন।

সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রতিটি গানের জন্য আট থেকে ১০ লাখ টাকা নিতেন তিনি। এক ঘণ্টার পারফর্ম্যান্সের জন্য ২০-২৫ লাখ টাকা নিতেন।

ভারতের সর্বাধিক করদাতাও ছিলেন তিনি। তবে সোনার পাশাপাশি গাড়ি কেনার শখও ছিল তার। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, পাঁচটি গাড়ি কিনেছিলেন তিনি।

একটি ৪২ লাখ টাকার বিএমডব্লিউ গাড়ি ছিল তার। ৩২ লাখ টাকার একটি অডি গাড়ি ছিল। এছাড়াও ২০ লাখ টাকার ফিয়াট, ১৬ লাখের সোনাটা এবং আট লাখ টাকার স্করপিও ছিল তার।

জানা যায়, ৫৫ লাখ টাকার একটি টেসলা এক্স গাড়িও ছিল তার। জানা যায়, একাধিক দেশে তার বাড়ি রয়েছে। যদিও এ বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি কখনও। কার নলেজে-২০২১ এর তথ্য অনুযায়ী, বাপ্পি লাহিড়ির মাসিক আয় ২০ লাখ টাকা এবং বাৎসরিক আয় ২ কোটি টাকারও বেশি ছিল৷

তিনি মহারাষ্ট্রের মুম্বাইতে ২০০১ সালে সাড়ে ৩ কোটি টাকার বাড়ি কেনেন৷ বাপ্পি লাহিড়ী ৬৯ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে অন্যতম জনপ্রিয় নাম বাপ্পি লাহিড়ী।

হিন্দিতে ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, বাংলায় অমর সঙ্গী, আশা ও ভালোবাসা, আমার তুমি, অমর প্রেম প্রভৃতি ছবিতে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন একাধিক গান।

২০২০ সালে তার শেষ গান ‘বাগি-৩’ এর জন্য। কিশোর কুমার ছিলেন বাপ্পির সম্পর্কে মামা। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি— দু’জনেই সংগীত জগতের মানুষ। ফলে একমাত্র সন্তান বাপ্পি ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন।

মা-বাবার কাছেই পান প্রথম গানের তালিম। ১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বাপ্পি। তারপর দীর্ঘদিন বাংলা ও হিন্দি ছবির গান গেয়েছেন, সুর দিয়েছেন। প্রচুর সোনার গয়না পরতে ভালোবাসতেন। ছিল গায়কির নিজস্ব কায়দা, যা তাকে হিন্দি ছবির জগতে অনন্য পরিচিতি দিয়েছিল।

[slickly _ligo _carousel id=”47536″]

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?