অনলাইন ডেস্ক, ১৭ ফেব্রুয়ারী।। সৌদি আরবের নারী অধিকারকর্মী লুজাইন আল হাথলুলের আইফোনই আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে ইসরাইলের গোয়েন্দা নজরদারির সরঞ্জাম তথা স্পাইওয়্যার পেগাসাস প্রস্তুতকারক কোম্পানি এনএসও গ্রুপকে।
তার ফোনের সূত্র ধরেই একের পর এক মামলা এবং সরকারি ব্যবস্থা নেয়া হয় গ্রুপটির বিরুদ্ধে। এই কোম্পানির উদ্ভাবিত স্পাইওয়্যার পেগাসাস দিয়ে বিশ্বজুড়ে হ্যাকিং করা হয় বলে তথ্য বেরিয়ে আসে লুজাইন আল হাথলুলের কারণে।
বিশ্বে সবচেয়ে স্পর্শকাতর, অত্যাধুনিক স্পাইওয়্যার তৈরি করে যেসব কোম্পানি তাদের অন্যতম এনএসও গ্রুপ। এখন তারা বহু মামলার মুখোমুখি। তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন থেকে অভিযোগ উঠেছে। বলা হয়েছে, তাদের সফটওয়্যার ব্যবহার করে সরকারি কর্মকর্তা ও বিশ্বজুড়ে ভিন্ন মতাবলম্বীদের ফোন ও কম্পিউটার হ্যাকিং করা হয়।
এটা শুরু হয়েছিল লুজাইন আল হাথলুলের আইফোনে একটি সফটওয়্যার যুক্ত করে দেয়ার মাধ্যমে। অস্বাভাবিক একটি ভুলে এনএসও’র স্পাইওয়্যার সৌদি আরবের নারী অধিকারকর্মী লুজাইন আল হাথলুল এবং প্রাইভেসি গবেষকদের তথ্য তালাশে সহায়তা করেছিল। এর অর্থ ইসরাইলি স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারকরা তার আইফোন হ্যাকে সহায়তা করেছিল।
এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৬ জন এমন তথ্য দিয়েছে। ভুল করে রহস্যজনক একটি ভুয়া ইমেজ থেকে যায় লুজাইন আল হাথলুলের ফোনে। ফলে তা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। এ বিষয় নিয়ে গত বছর আইনি লড়াই শুরু হয় এনএসও’র বিরুদ্ধে। সরকারগুলো উঠেপড়ে লাগে। কিভাবে প্রথমে ওই হ্যাকিং শুরু হয়েছিল তা প্রথমবার প্রকাশ করা হচ্ছে।
সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে প্রচারণায় নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন যেসব নারী অধিকারকর্মী, তার মধ্যে অন্যতম লুজাইন আল হাথলুল। জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করছেন এই অভিযোগে আটকের পর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়।