অনলাইন ডেস্ক, ১৬ ফেব্রুয়ারী।। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ভার্জিনিয়া জিওফ্রের করা যৌন নিপীড়নের মামলার নিষ্পত্তি করছেন ব্রিটেনের প্রিন্স অ্যান্ড্রু। তারা আদালতের বাইরে সমঝোতায় এসেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
অভিযোগে ভার্জিনিয়া বলেছিলেন, ১৭ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে তিনবার যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। তবে অ্যান্ড্রু বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সংশ্লিষ্ট আদালতে মঙ্গলবার দাখিল করা এক চিঠিতে দুই পক্ষ বলেছে, ডিউক অব ইয়র্ক প্রিন্স অ্যান্ড্রু এবং ভার্জিনিয়া জিওফ্রে আদালতের বাইরে একটি নিষ্পত্তিতে পৌঁছেছেন।
আরও বলা হয়, দায় স্বীকার না করলেও ভার্জিনিয়াকে একটি অপ্রকাশিত অঙ্কের টাকা দেবেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু। চিঠির সঙ্গে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডিউক ‘এ ধরনের হয়রানির শিকার হওয়াদের অধিকারের সমর্থনে জিওফ্রের দাতব্য প্রতিষ্ঠানে একটি উল্লেখযোগ্য অঙ্কের অর্থ দান করবেন। ’
এ বিষয়ে বাকিংহাম প্যালেস মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। বর্তমানে ৩৮ বছর বয়সী জিওফ্রে দাবি করেছেন, তিনি ১৬ বছর বয়স থেকে অর্থবাজারের শীর্ষ ব্যবসায়ী এপস্টাইনের যৌন পাচার এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
আরও বলেন, তাকে প্রিন্স অ্যান্ড্রু-সহ প্রভাবশালী পুরুষদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের তৃতীয় সন্তান প্রিন্স অ্যান্ড্রু এবং সিংহাসনে বসার অধিকারের তালিকায় নবম স্থানে।
এ মামলায় বিচারের সম্মুখীন হওয়ার পর সম্প্রতি তার রাজকীয় পদবি ও বেশ কয়েকটি সাম্মানিক সামরিক পদ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রানী।