অনলাইন ডেস্ক, ১৪ ফেব্রুয়ারী।। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আবহে উত্তরপ্রদেশে গিয়ে ফের সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার উত্তরপ্রদেশের কানপুর দেহাতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালের আগে রাজ্যে প্রতি দিন রেশন কেলেঙ্কারী ছিল। পূর্বতন লক্ষ লক্ষ জাল রেশন কার্ড তৈরি করেছিল।
কিন্তু আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার এই জাল রেশন কার্ড ‘প্রকল্প’-এর অবসান ঘটিয়েছে। আজ, কোটি কোটি সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন। আমার গরীব বোন ও মায়েদের স্টোভ কখনো বন্ধ হয় না।’তিনি আরো বলেন, ‘বিজেপির শাসনকালে মুসলিম মেয়েরা নিজেদের সুরক্ষিত মনে করে।
এখন বিপুল সংখ্যায় মুসলমান মেয়েরা রাজ্যের স্কুল, কলেজে ভর্তি হচ্ছে। যদি তাদের পক্ষে সম্ভব হত, তাহলে তারা কানপুর এবং রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলকে একটি ‘মাফিয়াগঞ্জ’ মহল্লায় পরিণত করত। এখন তাদের ‘মাফিয়াগিরি’ শেষ নিঃশ্বাস গুনছে। এই ‘পরিবারবাদীরা’ আবার এই মাফিয়াদের ক্ষমতা দিতে চায়। রাজ্যের জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।’
এদিন প্রধানমন্ত্রী যোগী সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, যোগী সরকারের কড়াকড়িতে গুন্ডা, ডাকাত, দাঙ্গাবাজদের মধ্যে যে ভয় তৈরি হয়েছে, তা আমাদের মা-বোনেদের মনোবল বাড়াতে খুবই কাজে লাগে। এই কারণেই উত্তরপ্রদেশের প্রতিটি মা-বোন বলছেন যে যোগী ইউপির জন্য খুব দরকারী। আমি খুশি যে আমরা দিল্লি থেকে যে অর্থ পাঠিয়েছি তার সঠিক ব্যবহার করা হয়েছে এবং উত্তর প্রদেশে দরিদ্রদের জন্য ৩৪ লক্ষ বাড়ি তৈরি করা হয়েছে।’
অন্যদিকে তৃণমূলকে এক হাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সংবাদপত্রে গোয়ার টিএমসি নেতার একটি সাক্ষাৎকার দেখেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের এক নেতা, যিনি গোয়ায় প্রথমবার লড়ছেন, তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে এখানে আপনার দলের অস্তিত্ব নেই, আপনি এখানে কেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তিনি যে উত্তরটি দিয়েছেন তা নির্বাচন কমিশনের জন্য লক্ষণীয়, এটি আমার ইউপির ভোটারদের জন্যও লক্ষণীয়।
গোয়ার ওই তৃণমূল নেতা বলেন, আমরা গোয়ায় হিন্দু ভোট ভাগ করতে চাই বলেই আমরাও ওইদলের সঙ্গে জোট করেছি। আপনি দেখতে পাচ্ছেন কি সাহস। এটাই কি ধর্মনিরপেক্ষতা? আপনি যদি খোলাখুলিভাবে বলেন যে হিন্দুরা ভোট ভাগ করতে চায়, তাহলে আপনি কার ভোট সংগ্রহ করতে চান? আমি গোয়ার জনগণকে বলতে চাই যে এই ধরনের রাজনীতিকে কবর দেওয়ার এটি একটি সুযোগ। ‘