স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৮ ফেব্রুয়ারী।। পরপর চারবার দলত্যাগ। শেষ পর্যন্ত পুরনো ঘরে কংগ্রেসে ফিরলেন ত্রিপুরার (Tripura) হেভিওয়েট নেতা সুদীপ রায় বর্মণ। সুদীপ রায়বর্মণের অভিযোগ, রাজ্যে একনায়কতন্ত্র সরকার চলছে। জনগণের সরকার নেই। তিনি আরও বলেন, সরকার সংখ্যালঘু হয়ে যেতে পারে।
পুরো উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজনীতিতে লেগেছে দোলা। বি়ভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস পাওয়ার পলিটিক্স করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। মণিপুরের ভোটে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। মণিপুরে বিজেপির হয়ে প্রচারের দায়িত্বে থাকা ত্রিপুরার সাংসদ প্রতিমা ভৌমিকের আচমকা নীরবতা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সুদীপবাবুকে ধরে এই নিয়ে তিন বিধায়ক ত্রিপুরা বিজেপির সংস্রব ত্যাগ করেছেন। আগেই পদত্যাগ করা আশিস দাস টিএমসিতে গেছেন।
সুদীপ রায়বর্মণ ও আশিস সাহা গেলেন কংগ্রেসে। আগরতলায় শোরগোল। প্রদেশ কংগ্রেস ভবন উজ্জীবিত। টিএমসি হতাশ। কারণ তারা বারবার খোলাখুলিভাবেই সুদীপবাবুকে দলে আসার অনুরোধ করেছিল। কারণ, গত বিধানসভার আগে কংগ্রেস ত্যাগ করে বিরোধী বিধায়কদের নিয়ে সুদীপবাবু প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেসে যান। পরে তিনি ও অনুগামীরা বিজেপিতে যোগ দেন। গত বিধানসভা ভোটে ত্রিপুরায় টানা ২৫ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের পতন হয়। সরকার গড়ে বিজেপি আইপিএফটি জোট। সরকারের মন্ত্রী হয়েও সুদীপবাবু লাগাতার প্রশাসনিক কাজে মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা করতেন।
গত পুরভোটের সময় রাজ্যে সন্ত্রাস চলছে বলে অভিযোগ করেন। মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত হন। এবার ফের তিনি কংগ্রেসে এলেন। আগরতলার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সুদীপ রায়বর্মণকে বরণ করতে প্রস্তুতি চলছে। বিরোধী দল সিপিআইএমের তরফে সুদীপবাবুর কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে নীরবতা কূটনীতি অবলন্বন করা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা, জল মাপছে সিপিআইএম। শাসকদল বিজেপির দাবি, রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকারকে ফের ক্ষমতায় আনতে সুদীপ রায়বর্মণ ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি বিজেপিতে গোষ্ঠীবাজি করছিলেন।