স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৮ ফেব্রুয়ারি।। মঙ্গলবার কংগ্রেসে যোগ দিলেন বিজেপির দুই বিধায়ক। যদিও পাঁচজনের যোগ দেয়ার কথা ছিল। দুজন ইতিমধ্যেই বিজেপির প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছে। তারা হলেন সুদীপ রায় বর্মণ এবং আশীষ কুমার সাহা।
বাকি তিনজন হলেন দিবা চন্দ্র রাংখল, ডাঃ অতুল দেববর্মা এবং বুর্বুমোহন ত্রিপুরা। এই তিনজন বিজেপির টিকিটে বিধায়ক। তাঁরা বর্তমানে দিল্লি রয়েছেন। রাহুল গান্ধী তাদের দলে বরণ করে নেন। সাথে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। দিল্লি রয়েছেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিরজিৎ সিনহাও। বাকি তিন বিধায়কও কংগ্রেসে যোগ দেবেন বলে খবর।
রাজ্যে বিগত বামফ্রন্ট জমানায় সুদীপবাবু ও অনুগামীদের পরপর দল বদলে ছড়িয়েছিল চাঞ্চল্য।
টিএমসি থেকে তারা সবাই বিজেপিতে যোগ দেন। গত বিধানসভা ভোটে রাজ্যে বামফ্রন্টের টানা ২৫ বছরের শাসন শেষ হয়। বিজেপি জোট সরকার গড়ে। এই রাজনৈতিক পরিবর্তনের অন্যতম কান্ডারি ছিলেন সুদীপবাবু।
তবে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে সুদীপ রায়বর্মণের তিক্ততা চরমে ওঠে। সেই রেশ ঘরে তিনিও আরও এক বিধায়ক মঙ্গলবার বিজেপি ও বিধায়ক পদ একসঙ্গে ত্যাগ করেন।
ফেসবুকে সুদীপ রায়বর্মণ লিখেছেন, “আমি সুদীপ রায় বর্মন এবং মাননীয় আশিস কুমার সাহা আজ ত্রিপুরা বিধানসভার সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।আমাদের পদত্যাগ পত্র আমরা বিধানসভার অধ্যক্ষ সম্মানীয় রতন চক্রবর্তীর হাতে তুলে দিয়েছি।” একসঙ্গে জোড়া বিধায়কের পদত্যাগে ত্রিপুরা সরগরম। এর আগে বিধায়ক পদ ত্যাগ করেছেন আশিস দাস।
তিনি এখন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা।মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব আগেই জানিয়েছেন, সুদীপবাবুর পদত্যাগ বা দলত্যাগে বিজেপির কিছু যাবে আসবে না।রাজ্যবাসী উন্নয়নের রাজনীতিতে সামিল হয়েছেন।এদিকে উন্নয়নের প্রশ্নে সাম্প্রতিক কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট বলছে, উত্তরপূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরার বেকারত্ব হার সর্বাধিক। এতে বিজেপির অস্বস্তি আরও বেড়েছে।
প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএমের দাবি, বিজেপির আমলে রাজ্যজুড়ে হাহাকার চলছে।ভোট লুঠ করে নিজেদের জমি হারানোর বার্তা দিয়েছে বিজেপি। বিজেপি বিধায়ক থাকাকালীন সুদীপ রায় বর্মণ বারবার ভোট সন্ত্রাস ও প্রশাসনিক দূর্বলতা নিয়ে সরকারের প্রবল সমালোচনা করেন।
তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।মনে করা হচ্ছে, সুদীপবাবুর পরপর আরও বিধায়ক দনত্যাগ করতে চলেছেন। রাজ্যে সরকার হয় সংখ্যালঘু অথবা পড়ে যেতে পারে। শরিক আইপিএফটির সঙ্গে চরম সংঘাত চলছে বিজেপির।