অনলাইন ডেস্ক, ৭ ফেব্রুয়ারী।। আফগানিস্তান দখল করার পর তালেবান জানিয়েছিল, তারা বদলে গিয়েছে। কিন্তু কেমন বদলেছে তারা আর তাদের অত্যাচারের সেই ঘটনা তুলে ধরার ‘অপরাধে’ এবার সাংবাদিকদের উপর নেমে আসছে তালেবি শাস্তি। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমকে ইসলামের শাসন মেনেই কাজ করার হুমকি দিয়েছে তালেবান।
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি বিবৃতি দিয়েছে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ। তার বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতর পক্ষেই ইসলামিক আমিরশাহী (তালেবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তান)। কিন্তু সংবাদমাধ্যমকেও নিরপেক্ষ হতে হবে। তাদের ইসলাম ও দেশের মূল্যবোধ মেনে চলতে হবে। আমরা সমস্ত বাধা সরিয়ে দিতে চাইছি এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে আবেদন জানাচ্ছি তারা যেন সংশ্লিষ্ট আইন মেনে চলে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসলামের নামে গোড়া থেকেই সংবাদমাধ্যমগুলির উপর বল প্রয়োগ করছে তালেবান। এবার আইনের ফাঁদে ফেলে সাংবাদিকদের আরও হেনস্তা করবে তালেবান।উল্লেখ্য, গতবছর আফগানিস্তানে সংবাদমাধ্যমের সার্বিক অবস্থা নিয়ে যৌথভাবে একটি সমীক্ষা চালায় ‘রিপোর্টার উইদাউট বর্ডারস’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও ‘আফগান ইন্ডিপেনডেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন’। ওই সমীক্ষায় জানা যায়, তালেবানের কাবুল দখলের পর পাততাড়ি গুটিয়েছে ২৩১টি সংবাদ সংস্থা। চাকরি খুইয়েছেন ৬ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি সাংবাদিক।
আফগানিস্তানে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের দুর্দশা স্পষ্ট করে ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ‘গ্রীষ্মকালের শুরুতে আফগানিস্তানে ৫৪৩টি সংবাদ মাধ্যমের অফিস ছিল। কিন্তু নভেম্বরের শেষে মাত্র ৩১২টি কাজ করছে। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসে ৪৩ শতাংশ মিডিয়া আউটলেট বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’ গত আগস্ট মাসে কাবুল দখল করে তালেবান। তাদের রাজত্বে অশিক্ষার অন্ধকার গ্রাস করছে আফগানিস্তানকে। ক্ষমতায় এসে মহিলাদের অধিকার রক্ষার কথা বলেছিল তালেবান। অনেকেই ভেবেছিলেন যে এবারে হয়তো কিছুটা বদলেছে তারা। কিন্তু আশঙ্কা সত্যি করে স্বমেজাজে ফিরেছে তারা।
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পর স্কুলেও মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে এই সংগঠনটি। কর্মক্ষেত্রেও মহিলাদের উপর বাধানিষেধ জারি করেছে তালেবান। বিক্ষোভ মিছিল সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করলে আক্রমণ নেমে আসছে সংবাদমাধ্যমের উপর। সব মিলিয়ে, আফগানিস্তানে সংবাদমাধ্যমের উপর জঙ্গিদের লাগাম ক্রমাগত চেপে বসছে। আর অত্যাচারের সেই ঘটনা তুলে ধরার ‘অপরাধে’ এবার সাংবাদিকদের উপর নেমে আসছে তালেবানি বিধান। এই পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমকে ইসলামের শাসন মেনেই কাজ করার হুমকি দিয়েছে তালেবানরা।
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি বিবৃতি দিয়েছে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ। তার বক্তব্য, ‘সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতর পক্ষেই ইসলামিক আমিরশাহী (তালেবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তান)। কিন্তু সংবাদমাধ্যমকেও নিরপেক্ষ হতে হবে। তাদের ইসলাম ও দেশের মূল্যবোধ মেনে চলতে হবে। আমরা সমস্ত বাধা সরিয়ে দিতে চাইছি এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে আবেদন জানাচ্ছি তারা যেন সংশ্লিষ্ট আইন মেনে চলে।’ বিশ্লেষকদের মতে, ইসলামের নামে গোড়া থেকেই সংবাদমাধ্যমগুলির উপর রাশ টানছে তালেবান। এবার আইনের ফাঁদে ফেলে সাংবাদিকদের আরও হেনস্তা করবে তালেবানরা।
উল্লেখ্য, গতবছর আফগানিস্তানে সংবাদমাধ্যমের সার্বিক অবস্থা নিয়ে যৌথভাবে একটি সমীক্ষা চালায় ‘রিপোর্টার উইদাউট বর্ডারস’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও ‘আফগান ইন্ডিপেনডেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন’। ওই সমীক্ষায় জানা যায়, তালিবানের কাবুল দখলের পর পাততাড়ি গুটিয়েছে ২৩১টি সংবাদ সংস্থা। চাকরি খুইয়েছেন ৬ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি সাংবাদিক। আফগানিস্তানে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের দুর্দশা স্পষ্ট করে ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ‘গ্রীষ্মকালের শুরুতে আফগানিস্তানে ৫৪৩টি সংবাদ মাধ্যমের অফিস ছিল। কিন্তু নভেম্বরের শেষে মাত্র ৩১২টি কাজ করছে। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসে ৪৩ শতাংশ মিডিয়া আউটলেট বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’