স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৫ ফেব্রুয়ারী।। বাণী বন্দনা বা সরস্বতী পূজা বাঙ্গালীদের এক অন্যতম উৎসব। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রী ও কচিকাঁচাদের। এখন সেটা যদিও বাঙালির ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবে পরিচিত হয়ে গেছে। পুজোর দিন হলুদ শাড়ি পরা খোলা চুলের জ্যান্ত সরস্বতী দেখতে পাড়ার পাঞ্জাবি পরা ময়ূর ছাড়া কার্তিক গুলো ভীড় করবেই।
সরস্বতী পূজা বাঙালির ভ্যালেন্টাইন! বেশ তো, ছেলে মেয়েরা ভালোবাসায় সিক্ত হবে… এ আর এমন কী? ইউনিভার্সিটি, স্কুল-কলেজ সহ অধিকাংশ শিক্ষাঙ্গন বানী অর্চনা করে। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে যুবকযুবতীর উপস্থিতি বেশি। সুতরাং পূজার পাশাপাশি ভালোবাসা ভাগাভাগি করাতে আমি বিরোধিতা করছি না। প্রশ্ন বানী বন্দনার প্রতীক নিয়ে।
কিছু বছর ধরে আমরা বিভিন্ন স্থানের সরস্বতী প্রতিমা দেখছি যেগুলোকে প্রতিমা না বলে “চাইনিজ ডল” বলা যায়। চাইনিজ মেয়ে পুতুল গুলোর একটা সেক্সি লুক থাকবে। ঠিক সেরকম লুক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বাঙালির বিদ্যাদেবী সরস্বতী। আপনার মেজাজ খারাপ হলেও ঘটনা সত্য।
আমার মনে হয় বাঙালির ভ্যালেন্টাইন ট্রেণ্ডের সাথে মিল রেখেই মা সরস্বতীকে মায়ের অবস্থান থেকে টেনে নিয়ে এসেছে ভালোবাসাময় দেবীর স্থানে। সরস্বতী দেবী বিদ্যার চেয়ে প্রেম বিলি করবেন বেশি বেশি।
শুধু এতটুকুতেই শিল্পীরা ক্ষ্যান্ত নয়। বাঙালি মেয়েরা সেদিন শাড়ী পড়ে। সেই শাড়ীতে বাংলা সমাজের শালীনতা বজায় থাকে। কিন্তু সরস্বতী?