অনলাইন ডেস্ক, ৪ ফেব্রুয়ারি || পার্টিগেট নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন প্রবল চাপে রয়েছেন, দলের ভেতরে- বাইরে তার ইস্তফার দাবি উঠেছে। এই অবস্থায় তার চিফ অফ স্টাফসহ চারজন সহকারী বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন।
সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রথমে জনসনের ডিরেক্টর অফ কমিউনিকেশন জ্যাক ডয়েল, পলিসি প্রধান মুনিরা মির্জা ইস্তফা দেন। এরপর পদত্যাগ করেন চিফ অফ স্টাফ ড্যান রসেনফিল্ড।
প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল ব্যক্তিগত সহকারী মার্টিন রেনল্ডসও ইস্তফা দিয়েছেন।
জনসন ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন, তারা করোনাকালে যে কাজ করেছেন, সরকার ও ১০ ডাউনিং স্ট্রিটকে যেভাবে সাহায্য করেছেন, তাতে তিনি কৃতজ্ঞ।
বরিস জনসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, করোনাকালে বিধি ভেঙে তিনি প্রচুর পার্টি করেছেন। প্রশাসনিক তদন্তেও এর প্রমাণ মিলেছে। তারপরই জনসনের চার সহযোগী ইস্তফা দিলেন।
এ ঘটনায় জনসনের ওপর চাপ বাড়ছে। কারণ তার কনজারভেটিভ পার্টির বেশ কিছু সদস্যও চান, প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দিন।
বৃহস্পতিবার ১৭ জন কনজারভেটিভ এমপি জনসনের বিরুদ্ধে দলের কাছে অনাস্থার চিঠি দিয়েছেন। ৫৪ জন এমপি এই রকম চিঠি দিলে দলে নেতৃত্ব নিয়ে ভোটাভুটি হবে।
এ ছাড়া বিরোধী লেবার পার্টি ইতিমধ্যেই পার্লামেন্টে জনসনের ইস্তফা দাবি করেছে।
জনসনের পার্টি নিয়ে এখন লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।