অনলাইন ডেস্ক, ৪ ফেব্রুয়ারী।। করোনা মহামারি শেষ হচ্ছে, এমনটা ধরে নিয়ে ইউরোপ, আমেরিকার এবং আফ্রিকার বেশ কিছু দেশ কড়াকড়ি কমাচ্ছে। তবে কিছু দেশ এখনো সেই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত নয়।
স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার ওপর চাপ এড়াতে সতর্কতা বজায় রাখছে তারা। যাবতীয় বাধানিষেধ দূর করে পুরোপুরি করোনা মহামারির আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া সম্ভব কিনা, সে বিষয়ে তর্কবিতর্ক রয়েছে। তবে ইউরোপ-আমেরিকার বেশ কিছু দেশ ওমিক্রন ঢেউ সত্ত্বেও অনেক বিধিনিষেধ কমিয়ে এনেছে।
জনসাধারণের একটা বড় অংশ করোনা টিকা নেওয়ায় এমন ‘সাহসী’ পদক্ষেপ নিতে চাইছে বেশ কিছু দেশের সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বিধি-নিষেধ কমানোর পক্ষে বলছে। যে সব দেশের মানুষের মধ্যে উচ্চ মাত্রায় প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে গণস্বাস্থ্য পরিষেবা কাঠামো যথেষ্ট শক্তিশালী এবং মহামারির প্রবণতা সঠিক দিশায় এগোচ্ছে, সেখানে এমন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলে ডাব্লিউএইচও মনে করে।
তবে রাজনৈতিক চাপের কারণে তড়িঘড়ি করে এমন বেপরোয়া সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান।
এমন প্রেক্ষাপটে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং বেশ কয়েকটি নর্ডিক দেশ করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করছে।
নরওয়ে ও ডেনমার্কে সংক্রমণের হার বেড়ে চললেও সরকার এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। ডেনমার্কের অনেক মানুষ অবশ্য স্বেচ্ছায় মাস্ক পরছেন। মহামারি শেষ হচ্ছে, এমনটা ধরে নিয়েই কড়াকড়ি কমানোর ঝুঁকি নিচ্ছে বেশ কিছু দেশ। গত সপ্তাহ থেকে ইংল্যান্ডে আর প্রায় কোনো বিধিনিয়মই চালু নেই।
শুধু পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়লে মানুষকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হচ্ছে। সুইজারল্যান্ডও বুধবার জানিয়েছে, সংক্রমণ বেড়ে চললেও হাসপাতালের উপর তেমন চাপ না থাকায় অনেক বিধিনিয়ম তুলে নেওয়া হচ্ছে।