অনলাইন ডেস্ক, ৩ ফেব্রুয়ারী।। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের আশঙ্কার মাঝেই এ সপ্তাহে ইউরোপে বাড়তি সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দুই হাজার সেনা পাঠানো হবে পোল্যান্ড ও জার্মানিতে। তা ছাড়া জার্মানিতে থাকা আরও এক হাজার সেনা যাবে রোমানিয়ায়।
মূলত ইউক্রেন সংকটের মধ্যে সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়া বলছে, পূর্ব ইউরোপে মার্কিন সেনাসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ধ্বংসাত্মক হবে।
মস্কোর অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে উত্তেজনা বাড়বে এবং রাজনৈতিক- কূটনৈতিক উপায়ে সংকট সমাধানের সম্ভাবনা হ্রাস করবে। ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করে রেখেছে প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার পূর্ব ইউরোপে প্রায় ৩ হাজার অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
অবশ্য রাশিয়ার আক্রমণের হুমকিতে থাকলেও এসব সেনা ইউক্রেনে পাঠাবে না ওয়াশিংটন। মূলত পূর্ব ইউরোপের অন্য দুই দেশ পোল্যান্ড এবং রোমানিয়ায় এই ৩ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, রুশ আগ্রাসন মোকাবিলা ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অবশ্য এটি কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নয়। বিবিসি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্দেশনা অনুযায়ী মার্কিন অঙ্গরাজ্য নর্থ ক্যারোলিনার ফোর্ট ব্র্যাগ থেকে প্রায় ২ হাজার সেনাকে পোল্যান্ড ও জার্মানিতে পাঠানো হবে।
অন্যদিকে, ইতোমধ্যেই জার্মানিতে অবস্থান করা এক হাজার সৈন্যকে রোমানিয়ায় পাঠানো হবে। এছাড়াও আরো সাড়ে ৮ হাজার সৈন্যকে প্রস্তুত থাকতে বলে হয়েছে। ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই প্রায় এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন করে রেখেছে প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।