অনলাইন ডেস্ক, ৩ ফেব্রুয়ারী।। জানুয়ারির শেষ থেকে ফেব্রুয়ারির শুরুতে উত্তর-পশ্চিম তুরস্কে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এমন ঠান্ডায় জমে যাওয়া ১২টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সীমান্ত শহর ইপসালার কাছাকাছি রাস্তার ধারে। তাদের শরীরে ছিল না শীত থেকে সুরক্ষার পর্যাপ্ত পোশাক। আলজাজিরা জানায়, স্থানটি তুরস্কের ভেতরে হলেও গ্রিস সীমান্তের খুব কাছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঠান্ডায় মারা গেছেন ওই ব্যক্তিরা। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সুলু টুইটার পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এতে ঝাপসা করে দেওয়া কিছু ছবিও যোগ করেছেন তিনি।
জানান, মৃতদেহের শরীরে নামমাত্র শর্টস ও টি-শার্ট ছিল। সুলু বলেন, ২২ জনের অভিবাসন প্রত্যাশীর একটি দলকে গ্রিসের সীমান্ত রক্ষীরা তুরস্কে পুশব্যাক বা ফেরত পাঠায়। মৃত ব্যক্তিরা ওই দলে ছিলেন। তবে তাদের পরিচয় জানানো হয়নি। এ ঘটনায় জন্য গ্রিসের রক্ষীদের নিষ্ঠুরতা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ‘দুর্বল’ ও অমানবিক আচরণের সমালোচনা করেন তিনি। গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রী নতিস মিতারাচি এই মৃত্যুকে ‘ট্র্যাজেডি’ বললেও তুরস্কের বিরুদ্ধে ‘তথ্য প্রচারের’ অভিযোগ এনেছেন। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এই ঘটনাকে ‘ভয়ংকর’ বলে উল্লেখ করেছে। ইউরোপের কিছু সীমান্ত ও বিশ্বের আরও কিছু অঞ্চলে পুশব্যাকে উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটছে ও এর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও আরও অঞ্চলের অভিবাসন প্রত্যাশী ও শরণার্থীদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের অন্যতম প্রধান পথ গ্রিস। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ পথে প্রবেশ চেষ্টা হ্রাস পেয়েছে। জাতিসংঘের রিফিউজি এজেন্সি জানায়, উত্তর আফ্রিকা ও তুরস্ক থেকে ইউরোপের প্রবেশের চেষ্টাকালে শুধু গত বছরই সমুদ্রে মারা গেছে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ। সম্প্রতি বর্ধিত হওয়া ২০১৬ সালের একটি চুক্তির অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আঙ্কারায় বিলিয়ন ডলার সাহায্য দিয়ে থাকে। যার বিনিময়ে সিরিয়া ও অন্যান্য দেশের শরণার্থীদের সাহায্য দিতে সম্মত হয় তুরস্ক।