CM Biplab: উন্নত নাগরিক পরিষেবা প্রদানে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৩১ জানুয়ারি।।রাজ্যের শহর এলাকা উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত নাগরিক পরিষেবা প্রদানে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। এক্ষেত্রে শহর এলাকার পরিকাঠামোগত ও নাগরিক জীবন যাত্রার মানোন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পগুলি রূপায়ণে নগরোন্নয়ন দপ্তরকে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ করার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

আজ সচিবালয়ের ২ নং সভাকক্ষে নগরোন্নয়ন দপ্তরের পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব একথা বলেন। সভায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (আরবান), স্বচ্ছ ভারত মিশন, ত্রিপুরা আরবান লাইভলিহুড মিশন, আমরুত, স্মার্ট সিটি মিশন, টুয়েপ, টুডা ইত্যাদি প্রকল্পগুলির অগ্রগতি বিষয়ে পর্যালোচনা করেন।

পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (আরবান) ২০২২ সালের মধ্যে ঘর প্রদানের যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তা রূপায়ণে নগরোন্নয়ন দপ্তরকে মিশন মুডে কাজ করতে হবে। এই প্রকল্পে যে সমস্ত ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে তা দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়মিত তদারকি করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সভায় নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব কিরণ গিতো জানান, শহর এলাকা উন্নয়নে নগরোন্নয়ন দপ্তর ১১টি বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করছে।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (আরবান) সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি জানান, আগরতলা পুর নিগম সহ ২০টি নগর সংস্থার জন্য এখন পর্যন্ত মোট ৮৫,৩৮৬টি ঘরের মঞ্জুরি পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৪৭ হাজার ৩৪০টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ১৫,৭৬৮টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে। এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত মোট ১,৪২৮ কোটি ১৩ লক্ষ টাকার মঞ্জুরি পাওয়া গেছে। এরমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের শেয়ার ১,২৮৬ কোটি ৪ লক্ষ টাকা এবং রাজ্য সরকারের শেয়ার ১৪২ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা।

লাইট হাউজ প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব সভায় জানান, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী লাইট হাউজ প্রজেক্টের শিলান্যাস করেছিলেন। এই প্রকল্পে ১,০০০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করার কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। মোট ১,৭৫০টি পিলারের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১,৩৯৯টি পিলার নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি পিলারগুলি নির্মাণের কাজ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ চলছে।

১,০০০টি ফ্ল্যাটের জন্য ইতিমধ্যেই ৬২১ জন সুবিধাভোগীর নির্বাচন করা হয়েছে। লাইট হাউস প্রকল্পটি ২০২২ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যে রূপায়ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি সভায় জানান। স্বচ্ছ ভারত মিশন (আরবান) প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে সচিব জানান, রাজ্যের ২০টি নগর সংস্থাকে ইতিমধ্যেই উন্মুক্ত স্থানে শৌচালয়মুক্ত (ওডিএফ) ঘোষণা করা হয়েছে।

স্বচ্ছ ভারত মিশন (আরবান) প্রকল্পে শহর এলাকায় মোট ১৯,৪৬৪টি বাড়িতে শৌচালয় নির্মাণ করে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিলো। ইতিমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পে শহর এলাকায় ৫০০টি কমিউনিটি টয়লেট নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিলো। এরমধ্যে ৪৫০টি টয়লেটের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলির নির্মাণ কাজ ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে দপ্তর।

এছাড়াও স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পে ৩৭২টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিলো। এরমধ্যে সবগুলির নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। সভায় নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব আরও জানান, স্বচ্ছ ভারত মিশন (আরবান) প্রকল্পে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আগরতলা পুর নিগম সহ ২০টি নগর সংস্থার মোট ৩৩৪ ওয়ার্ডে প্রতিটি বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করা হয়েছে।

এই কাজ পরিচালনার জন্য ১৫০টি মহিলা পরিচালিত স্বসহায়ক দল যুক্ত রয়েছে। সভায় দীনদয়াল উপাধ্যায় ন্যাশনাল আরবান লাইভলিহুড মিশন ও ত্রিপুরা আরবার লাইভলিহুড মিশন প্রকল্প আলোচনা করতে গিয়ে সচিব জানান, এই প্রকল্পে মোট ২,১১০টি স্ব-সহায়ক দল গঠন করা হয়েছে।

এরমধ্যে মহিলা পরিচালিত স্ব-সহায়ক দল রয়েছে ১৯৯৭টি। ২,১১০টি স্বসহায়ক দলের মধ্যে ১৭৭১টি দলকে রিভলভিং ফান্ডে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ৭১৭টি স্ব-সহায়ক দলকে ৮ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার ব্যাংক লোন প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী স্ট্রীট ভেন্ডার আত্মনির্ভর নিধি প্রকল্পে রাজ্যের ২০টি নগর সংস্থার অধীনে মোট ৮,৬৬৬ জন স্ট্রীট ভেন্ডারকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এরমধ্যে ৪,৪৫১ জন বিভিন্ন ব্যাঙ্কে লোনের জন্য আবেদন করেছেন। এরমধ্যে ৩,৪১৫ জনের ঋণ মঞ্জুর হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই ২,৯৬২ জনের মধ্যে লোন ডিসবার্স করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর যোজনা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে সচিব জানান, রাজ্যের ২০টি নগর সংস্থা এলাকায় মোট ৬৫ হাজার ২০৩ জন দোকানদার রয়েছেন। ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে মোট ৫৬ হাজার ৪৭৫ জন দোকানদারের।

এরমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর যোজনায় ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে ৪৭ হাজার ৪৪৯ জনকে। এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ২,৭৪৬ জন জিএসটি এবং ১,২৫২ জন ন্যাশনাল পেনশন স্কীমের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শহর এলাকার প্রত্যেক দোকানদারকে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান সহ জিএসটি ও এনপিএস রেজিস্ট্রেশনের জন্য দপ্তরকে উদ্যোগ নিতে হবে।

এক্ষেত্রে বেশি সংখ্যক শিবির করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্মার্ট সিটি প্রকল্পে যে সমস্ত কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। পাশাপাশি শহর এলাকা উন্নয়নের কাজ বজায় রাখতে আগরতলা পুর নিগম সহ অন্যান্য পুর সংস্থাগুলিকে রাজস্ব আদায়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

সভায় তাছাড়াও আমরুত, টুয়েপ, স্মার্ট সিটি মিশন, টুডা ইত্যাদি প্রকল্পগুলির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন আগরতলা পুর নিগমের কমিশনার ডা. শৈলেশ কুমার যাদব। পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা, মুখ্য সচিব কুমার অলক সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকগণ।

ujjivan
sbi life
hero
hdfc
dailyhunt
bazar kolkata
adjebra

 

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?