অনলাইন ডেস্ক, ২৮ জানুয়ারী।। দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া নিওকভ নামের এক ধরনের নতুন করোনাভাইরাস মানুষের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চীনের গবেষকরা। বিজ্ঞানীদের দাবি ভাইরাসটি নিজের মধ্যে আরও মিউটেশন বা পরিবর্তন ঘটিয়ে মানুষদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সম্প্রতি প্রিপ্রিন্ট রিপোজিটরি BioRxiv-এ ওই গবেষণার প্রতিবেদনটি পোস্ট করা হয়েছে। তবে গবেষণাটি এখনও পিয়ার-রিভিউর মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়নি।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিওকভ (NeoCov) মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম (মার্স) এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। মার্স একটি ভাইরাল রোগ, যা সৌদি আরবে ২০১২ সালে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল।
করোনাভাইরাস হল ভাইরাসের একটি বড় পরিবার যা সাধারণ সর্দি থেকে শুরু করে গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সিনড্রোম (সার্স) এর মতো রোগের কারণ হতে পারে।
চাইনিজ একাডেমি অফ সায়েন্সেস এবং উহান ইউনিভার্সিটির গবেষকরা উল্লেখ করেছেন যে, নিওকভ দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড়দের মধ্যেই প্রথম পাওয়া যায় এবং আজ পর্যন্ত শুধু এই প্রাণীদের মধ্যেই ছড়িয়েছে।
বর্তমানরুপে ভাইরাসটি মানুষকে সংক্রামিত করবে না। তবে আরও মিউটেশন ঘটলে এটি মানুষের জন্যও হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
গবেষকরা আরও বলনে, ‘এই গবেষণায় আমরা অপ্রত্যাশিতভাবে খুঁজে পেয়েছি যে নিওকভ (NeoCoV) এবং এর নিকটাত্মীয় PDF-2180-CoV দক্ষতার সঙ্গে কিছু ধরণের বাদুড়ের অ্যাঞ্জিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম ২ (ACE2) এবং কম অনুকূলভাবে মানব ACE2 ব্যবহার করে দেহে প্রবেশ করতে পারে’।
ACE2 হল কোষের একটি রিসেপ্টর প্রোটিন যা করোনাভাইরাসকে দেহের কোষে প্রবেশ করতে এবং সংক্রামিত করার জন্য প্রবেশ বিন্দু হিসেবে সহায়তা দেয়।
গবেষকরা আরও উল্লেখ করেছেন যে, NeoCov-এর সংক্রমণ SARS-CoV-2 বা MERS-CoV-কে প্রতিরোধে ব্যবহৃত অ্যান্টিবডি দিয়ে প্রতিরোধ করা যায় না। ফলে এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ফের নতুন মহামারী নেমে আসতে পারে।