অনলাইন ডেস্ক, ২৬ জানুয়ারী।। রেলের চাকরির পরীক্ষায় বেনিয়মের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের এই বিক্ষোভের জেরে দফায় দফায় অশান্ত হয়ে উঠেছে বিহারের একাধিক জায়গায়। এমনকি ক্ষুব্ধ চাকরি প্রার্থীরা একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে আগুনও ধরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত দুদিন ধরে আরআরবি-এনটিপিসি-র ফলাফলে কারচুপির বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ-বিহারে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে।
বুধবার গয়া জংশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ চাকরি প্রার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোঁড়ে পুলিশ বলে খবর।
শুধু তাই নয়, বিক্ষোভকারীরা জেহানাবাদ, সমস্তিপুর, রোহতাস-সহ বহু এলাকায় রেললাইনে নেমে স্লোগান দিতে শুরু করেন। বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের কারণে বহু জায়গায় ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে রেল মন্ত্রক। চলমান বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বিকেল সাড়ে তিনটেয় সাংবাদিক সম্মেলন করবেন।
যদিও রেলের তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়েছে, ভিডিও ও সিসি টিভি ক্যামেরার মাধ্যমে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করা হবে। শুধু তাই নয়, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হবে তারা রেলে চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থেকে আজীবন বঞ্চিত হবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাজেন্দ্রনগর টার্মিনালে ট্রেন থামানো এবং পাথর নিক্ষেপের জন্য ৫০০ অজ্ঞাতপরিচয় ছাত্রদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারার পাশাপাশি সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং ঢিল ছুড়ে পুলিশকে আক্রমণ করার অভিযোগে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এডিজি নির্মল কুমার জানিয়েছেন, রেল পুলিশ, আরপিএফের পাশাপাশি জেলা পুলিশের একটি দলও সেখানে রয়েছে। গয়ার এসএসপি নিজেও উপস্থিত রয়েছেন। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। রেলে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা দেখা দিয়েছে। তা কাটিয়ে উঠতে রেলের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এছাড়াও, সমস্ত রেলওয়ে জেলা পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে।