অনলাইন ডেস্ক, ২৬ জানুয়ারী।। একদা প্রেম করেছিলেন মার্কিন অভিনেত্রী ইভান র্যাচেল উড ও গায়ক মারিলিন ম্যানসন। ২০০৭ সালের হিট মিউজিক ভিডিও ‘হার্ট-শেপড গ্লাসেস’-এ তাদের একসঙ্গে দেখাও যায়। সেই সেটে ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ ইভানের।
রবিবার সানড্যান্স ফিল্ম ফেস্টভ্যালে এইচবিও ডকুমেন্টারি ‘ফনিক্স রাইজিং’-এর প্রিমিয়ার হয়। সেখানে বিষয়টি ওঠে আসলেও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মারিলিন।
ইভান জানান, তাকে বলা হয়েছিল ভিডিওতে নকল যৌন দৃশ্য থাকবে। কিন্তু ক্যামেরা চালু হওয়ার পর তা আর থাকেনি। তার সঙ্গে যৌনকর্ম শুরু করে মারিলিন ম্যানসন। সে সূত্রে এখন ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন তিনি।
শিশুশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়া ইভান র্যাচেল উড একসময় মারিলিন ম্যানসনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। তখন তাদের বয়স ছিল যথাক্রমে ১৮ ও ৩৭ বছর।
একবার স্টানলি কুবরিকের বিখ্যাত সিনেমা ‘লোলিটা’র পোস্টারের মতো হৃদয় আকৃতির চশমা পরেছিলেন ইভান। তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘হার্ট শেপড গ্লাসেস’ নামের গানটি তৈরি করেন মারিলিন, যা তার ‘ইট মি, ড্রিংক মি’ অ্যালবামে’ স্থান পায়।
প্রামাণ্যচিত্রে ইভান আরও জানান, ভিডিওটির চিত্রগ্রহণের সময় কোনো সত্যিকারের যৌনতা ছিল না বলে সাংবাদিকদের জানাতে চাপ দেন মারিলিন।
তবে এক বিবৃতিতে গায়কের আইনজীবী হাওয়ার্ড কিং পুরো অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, একাধিক সাক্ষী আছে যাদের সাক্ষ্য এই অভিযোগকে মিথ্যা প্রমাণে যথেষ্ট।
আরও জানান, ভিডিও’র পরিকল্পনা থেকে সম্পাদনা পর্যন্ত পুরো সময়ে সাহায্য করেছিলেন ইভান। আর ওই দৃশ্য তৈরিতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগেছিল। কারণ একাধিক অ্যাঙ্গেল থেকে ভিডিও ধারণ করা হয়। ফলে ওই সময় এমন কিছু ঘটেনি।