অনলাইন ডেস্ক, ২৬ জানুয়ারী।। কিছুদিন আগেই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক অফ বরোদা অতিমারি কোভিড পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের সুবিধার্থে বিশেষ ট্রোল ফ্রি নম্বর চালু করেছে। এই নম্বরে ফোন করে গ্রাহকরা বেশ কিছু পরিষেবা যেমন ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন তেমনই অনেক সমস্যারও সমাধান হবে। সেই সঙ্গে এই তিন ব্যাঙ্কের আরও বেশ কিছু পরিবর্তন হতে চলেছে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক অফ বরোদার তরফে জানান, হয়েছে ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বেশ কিছু নিয়মে পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে। গ্রাহকদের ও এই বিষয়টি সম্পর্কে জানান হয়েছে। যারা এখনও পর্যন্ত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই তিন বিশিষ্ট ব্যাঙ্কের পরিবর্তিত হতে চলা নিয়মগুলো সম্বন্ধে অবগত নন, তাঁরা জেনে নিন কী কী ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে চলেছে।
১। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া
বেশির ভাগ নাগরিকেরই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে অ্যাকাউন্ট থাকে। যাঁদের এই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে টাকা লেনদেনের জন্য অতিরিক্ত গ্যাটের কড়ি খরচ করতে হবে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে আইএমপিএস ট্রানজাকশনের নতুন স্ল্যাব নিয়ে এসেছে স্টেট ব্যাঙ্ক।
এই নতুন স্ল্যাব অনুযায়ী, ২ লাখ টাকার পরিমান বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ লাখের বদলে ৫ লাখ টাকার মধ্যে ব্যাঙ্ক ব্রাঞ্চ থেকে আইএমপিএস (IMPS) এর মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য ২০ টাকার বেশি জিএসটি দিতে হবে ৷
২। পাঞ্জাব ন্যশনাল ব্যাঙ্কে
এই ব্যাঙ্কের নতুন নিয়মেও রয়েছে অতিরিক্ত টাকা খরচের গল্প। এতদিন পর্যন্ত পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে যদি গ্রাহকের টাকা না থাকত তাহলে ১০০ টাকা করে গ্রাহকের কাছ থেকে কেটে নেওয়া হত। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই চার্জই বেশ অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে।
আপনার যদি পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকে আর সেই অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকে তাহলে ২৫০ টকা চার্জ দিতে হবে। শুধু এই ক্ষেত্রই নয়, যদি কোন কিস্তি বা ইনভেস্টমেন্টের ডেবিট সঠিক সময় দেওয়া না হয় তাহলেও এই পরিমান টাকা কেটে নেওয়া হবে। এছাড়াও ডিমান্ড ড্রাফ্ট বাতিল বা ক্যান্সেল করালে ১০০ টাকার বদলে দিতে হবে ১৫০ টাকা ৷
৩। ব্যাঙ্ক অফ বরোদা
আপনি যদি ব্যাঙ্ক অফ বরোদার গ্রাহক হন তাহলে চেক ক্লিয়ারেন্সলের ক্ষেত্রে একটা বড়সড় বদল আসতে চলেছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চেক ক্লিয়ারেন্সের জন্য গ্রাহকের কনফার্মমেশন অত্যাবশ্যক বলে জানান হয়েছে ব্যআঙ্কের তরফে। গ্রাহকের কনফার্মমেশন না পাওয়া যায় তাহলে সেই চেকেক ক্লিয়ারেন্স আটকে যাবে।
অর্থাৎ সেই চেক ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ব্যাঙ্ক অফ বরোদা তার গ্রাহকদের জন্য একটা বিশেষ পরামর্শও দিচ্ছে। ব্যাঙ্কের তরফে বারবার বলা হচ্ছে, সিটিএস ক্লিয়ারেন্সের সুবিধা গ্রহণ করার।