স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৫ জানুয়ারি।। ১২তম জাতীয় ভোটার দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ রাজ্যে উদযাপন করা হয়। রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানটি হয় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২ নং হলঘরে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুখ্যসচিব কুমার অলক।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক কিরণ গিত্যে, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের সচিব চৈতন্য মূর্তি, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক ঊষাজেন মগ এবং রাজ্য আইকন দিব্যাঙ্গ সাঁতারু সমীর বর্মণ প্রমুখ।
অতিথিগণ অনুষ্ঠানে এবারের নতুন ভোটারদের হাতে সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র তুলে দেন। হলঘরে উপস্থিত সকলকে এদিন ভোটদাতার অঙ্গীকারপত্র করান মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক কিরণ গিত্যে। ১২তম জাতীয় ভোটার দিবসের ভাবনা ছিলো মেকিং ইলেকশনস ইনক্লুসিভ, অ্যাক্সেসিবল অ্যান্ড পার্টিসিপেটিভ’।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যসচিব কুমার অলক বলেন, সমাজ বা দেশের টিকে থাকার অন্যতম উপাদান হচ্ছে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। তাই ভারতের সংবিধান প্রণেতারা দেশের সমস্ত অংশের মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য বদ্ধপরিকর ছিলেন। এরই অঙ্গ হিসেবে গঠন করা হয় ভারতের নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে দেশের প্রতিটি নাগরিককে ভোট দিতে হবে। ভোট প্রক্রিয়ায় যুব সমাজের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য ভোটদানের বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ করা হয়েছে। জাতীয় ভোটার দিবস পালন করা হচ্ছে। ভোট প্রক্রিয়ায় দিব্যাঙ্গজনদের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য প্রতিটি নির্বাচনী বুথকে দিব্যাঙ্গজন সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্য সচিব ভোটারদের সচেতনতার উপর বাৎসরিক ক্যালেন্ডার উন্মোচন এবং সিএমএস ভিত্তিক ত্রিপুরা মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক কার্যালয়ের সরকারি ওয়েবসাইটেরও উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক কিরণ গিত্যে বলেন, নতুন ভোটাররা এবছর থেকে
বছরে ৪ বার তাদের নাম ভোটার তালিকায় নথিভুক্ত করতে পারবে।
ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে প্রতিবছর ১ জানুয়ারি ১ এপ্রিল, ১ জুলাই, ১ অক্টোবর তারিখে নতুন ভোটাররা তাদের নাম ভোটার তালিকায় তুলতে পারবেন। আজ রাজ্যভিত্তিক জাতীয় ভোটার দিবস অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক কিরণ গিতো। তিনি আরও বলেন, ভারতবর্ষে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের দ্বারা গণতন্ত্রের ভিত মজবুত হয়েছে।
রাজ্যে এবছর ৪১ হাজারের বেশি নতুন ভোটারের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও স্থায়ী করতে সব নাগরিকেরই ভোটদান প্রক্রিয়ায় সামিল হতে হবে। অনুষ্ঠানে এদিন মুখ্যসচিব দিব্যাঙ্গ সাঁতারু সমীর বর্মণকে সংবর্ধনা জানান।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের সচিব চৈতন্য মূর্তি ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের শিল্পীরা উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন।