স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ২৪ জানুয়ারি।। আত্নহত্যা তাও আবার বাপের বাড়িতে এক গৃহবধুর। আটক স্বামী। বিয়ের দুই মাসের মধ্যে স্বামী এবং স্বামীর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে পারিবারিক ঝামেলাকে কেন্দ্র করে ১৯ বছর বয়সী এক গৃহবধূ নিজ শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করল। ঘটনায় সোমবার সাতসকালে তেলিয়ামুড়া থানাধীন ডিএম কলোনি এলাকায়।
মৃত গৃহবধূর নাম শুনিতা মন্ডল ওরফে পূজা। ঘটনার বিবরণে জানা যায় ডিএম কলোনি এলাকার বাসিন্দা মিলন মন্ডলের মেয়ে শুনিতা মন্ডলের সামাজিকভাবে বিয়ে হয় আমবাসা রেল স্টেশন সংলগ্ন সুকান্ত সরকারের সাথে। বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই শুনিতা ও সুকান্তের মধ্যে পারিবারিক ঝামেলা শুরু হয়।
অভিযোগ সুকান্ত তার স্ত্রী সুনিতা মন্ডলকে নিত্যদিন মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। এই অবস্থায় সুনিতা মন্ডল তার তেলিয়ামুড়া ডিএম কলোনিস্থিত মায়ের বাড়িতে চলে আসে। অভিযোগ মূলে জানা যায়, ১৯ বছর বয়সী গৃহবধূ সুনিতা মন্ডল সোমবার সাত সকালে নিজ শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
ঘটনার খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূকে উদ্ধার করে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক অগ্নিদগ্ধ সুনিতা মন্ডলকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এদিকে মৃতদেহ বর্তমানে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয় ময়না তদন্তের জন্য।
অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ হাসপাতালে এসে ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়ে মৃত গৃহবধূর স্বামী সুকান্ত সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে কি কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে গৃহবধূ পূজা সে বিষয়ে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।