স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২১ জানুয়ারি।। পূর্ণরাজ্য দিবসের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে আজ আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে অনুষ্ঠিত রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানে বাছাইকৃত কয়েকটি দপ্তর, ব্লক, প্রশাসক ও কর্মীদের চিফ মিনিস্টার্স সিভিল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের জন্মগত ৩৮টি শারীরিক ত্রুটি নির্ণয়ের মাধ্যমে শিশুদের জীবনের মান উন্নয়নের জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনকে চিহ্ন মিনিস্টার্স সিভিল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আধিকারিকদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ই-আবগারি ব্যবস্থা চালু করার জন্য চিহ্ন মিনিস্টার্স সিভিল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় অর্থ দপ্তরকে।
অর্থ দপ্তরের প্রতিনিধির হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। বনায়ন, জল সংরক্ষণ এবং জলশক্তি অভিযানের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বন দপ্তরকে দেওয়া হয় চিফ মিনিস্টার্স সিভিল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড। বন দপ্তরের প্রতিনিধির হাতে পুরস্কার তুলে দেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক।
নাগরিক পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় পুরস্কৃত করা হয় সিপাহীজলা জেলা ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাকে। সিপাহীজলা জেলার আধিকারিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা আধিকারিকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। নাগরিক পরিষেবা প্রদানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় পুরষ্কৃত করা হয় আমবাসা আরডি ব্লক, যুবরাজনগর ব্লক ও সালেমা ব্লককে।
এই তিন ব্লকের আধিকারিকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পরিবহণমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়, খাদ্যমন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব ও জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া।
এছাড়া গ্যাজেটেড অফিসার বিভাগে যুগ্মভাবে সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক বিশ্বশ্রী বি এবং ওসি ডেভেলপমেন্ট অরিন্দম দাসের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কারামন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল।
সিপাহীজলা জেলার ১৬৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটিতে সিএসআর ফান্ডের মাধ্যমে ২০ দিনের মধ্যে গ্রামীণ গ্রন্থাগার স্থাপনের জন্য তাদের চিফ মিনিস্টার্স সিভিল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য চালু, প্রধানমন্ত্রী বনধন বিকাশ কার্যক্রমে বাঁশের বোতল তৈরি, অর্জুন ফুলের ঝাড়ু তৈরির জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখায় টিআরপিসি লিমিটেডের এমডি প্রসাদ রাও ভি-কে পুরস্কৃত করা হয়। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন শ্রমমন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস।
নতুন কাজের জন্য জিআইএস এর ব্যবহার এবং অন্য দপ্তরকে ফরেস্ট ইনসিডেন্ট রিপোর্টিং মডিউল অ্যাপের মাধ্যমে বাস্তুতন্ত্রের উন্নয়নে ও অরণ্য জলদর্পণ অ্যাপের মাধ্যমে মৎস্য জলাশয়ের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ অবদান রাখায় যুগ্মভাবে সিসিএফ অমিত শুক্লা ও ডিসিএফ এস সূর্য নারায়ণকে সম্মানিত করা হয়। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর হাত থেকে অমিত শুক্লার হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন সিএল দাস।
এস সূর্য নারায়ণকে পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যসচিব কুমার অলক। একই সাথে নন গ্যাজেটেড অফিসার বিভাগে সম্মানিত করা হয় রাজস্ব দপ্তরের কপিয়ার মেশিন অপারেটর তাপস চৌধুরী, জিএ (এআর) দপ্তরের ওএস সুশীল দেববর্মা ও মৎস্য দপ্তরের ফিসারি অ্যাসিস্টেন্ট প্রবীর চাকমাকে।
তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। দপ্তর, জেলা এবং ব্লকগুলিকে পুরস্কার হিসেবে শংসাপত্র ও ট্রফি এবং গ্যাজেটেড ও নন গ্যাজেটেড অফিসার বিভাগে বিজয়ীদের যথাক্রমে ২৫ হাজার টাকা ও ১০ হাজার টাকা এবং শংসাপত্র প্রদান করা হয়।