অনলাইন ডেস্ক, ২০ জানুয়ারি।। টিকার বিরোধীতা করতে গিয়ে স্বেচ্ছায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ইউরোপের দেশ চেক রিপাবলিকের এক লোকসঙ্গীত শিল্পী। কিন্তু টিকার অপ্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করতে পারলেন না। মারা গেলেন তিনি।
করোনায় মারা যাওয়া চেক রিপাবলিকের ওই লোকসঙ্গীত শিল্পীর নাম হানা হরকা।
৫৭ বছর বয়সী এই শিল্পী করোনার টিকা নেননি। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি সুস্থ হয়ে উঠছিলেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় নিজেই জানিয়েছিলেন হানা। তবে এর দুদিন পরই তিনি মারা যান।
হানা হরকার ছেলে জ্যান রেক বলছেন, তিনি ও তার বাবা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার মা হানা স্বেচ্ছায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মূলত থিয়েটারসহ নির্দিষ্ট কিছু ভেন্যুতে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পাস নেওয়ার জন্য তিনি স্বেছায় করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন। এই পাসের জন্য টিকা নিতে হয় অথবা সম্প্রতি করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার প্রমাণ দিতে হয়।
সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ভেন্যুতে প্রবেশ, ভ্রমণ এবং বার ও রেস্তোরাঁয় যাওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে করোনার টিকা গ্রহণের সনদ বা সাম্প্রতিক সংক্রমণ থেকে সেরে উঠার প্রমাণ লাগে। হানা হরকা টিকা না নিয়ে স্বেচ্ছায় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নেন এবং নিজের মৃত্যু ডেকে আনেন।
অবশ্য জ্যান রেক ও তার বাবা আগেই করোনা টিকার ডোজ সম্পন্ন করেছিলেন।
কিন্তু ক্রিসমাসের সময় তারা করোনায় আক্রান্ত হন। কিন্তু ছেলের দাবি, তিনি ও তার বাবা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তার মা দূরে থাকতে চাননি। স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে থাকতে তিনি নিজেও বরং ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পথই বেছে নেন।
জ্যান রেক বলেন, ‘আমরা করোনা পজিটিভ হওয়ার পর এক সপ্তাহ আমাদের থেকে তার দূরে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি পুরো সময়টিই আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি টিকা বিরোধীদের ভুল প্রচারণায় প্রভাবিত হয়েছিলেন। স্থানীয় টিকাবিরোধী আন্দোলনকারীরাই আমার মায়ের খুনি’।
বিবিসি বলছে, ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো চেক রিপাবলিকেও করোনার সংক্রমণ সম্প্রতি অনেক বেড়েছে। বুধবারও দেশটিতে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর তাই সেখানে করোনার বিধিনিষেধও অনেক কঠোর।