অনলাইন ডেস্ক, ১৪ জানুয়ারি|| প্রথমবারের মতো ফেবারিট হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল ভারত। সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে নিজেদের শক্তিরও জানান দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।
তবে পরের দুই টেস্টে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল দ. আফ্রিকা। জোহানেসবার্গ টেস্ট জিতে সমতায় ফেরে স্বাগতিক দল।
এরপর কেপটাউনে টেস্ট চতুর্থদিনে জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিল প্রোটিয়ারা।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে ৭ উইকেটে হেরেছে ভারত। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এ নিয়ে চারবার প্রথম টেস্ট জিতেও সিরিজ হারল টিম ইন্ডিয়া। এর আগে ১৯৮৪/৮৫ মৌসুমে ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ২০০৬/০৭ মৌসুমে দ. আফ্রিকার মাটিতে এবং ২০১২/১৩ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরেই এমন হার জুটে ভারতের।
কেপটাউন টেস্টে সফরকারীরা প্রথম ইনিংসে করে ২২৩ রান। দ. আফ্রিকার প্রথম ইনিংস থামে ২১০ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ঋষভ পন্তের সেঞ্চুরির পরও দলের বাকিদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৯৮ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ২১২। লক্ষ্য তাড়া করতে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দ. আফ্রিকা।
৩ উইকেটে ২১২ রান করে তৃতীয় টেস্ট জয়ের পাশাপাশি সিরিজও জিতল স্বাগতিকেরা।
২ উইকেটে ১০১ রান নিয়ে দিন শুরু করে দ. আফ্রিকা। চতুর্থ দিনে ভারতীয়রা উইকেট পেয়েছে মাত্র একটি। বিরাট কোহলিদের জয়ের আশা গুটিয়ে দেয় কিগান পিটারসেনের ব্যাট। শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হওয়া পিটারসেন দিন শুরু করেছিলেন ৪৮ রান নিয়ে।
তার ফেরার পর পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়েন রসি ফন ডার ডুসেন (৪১) ও টেম্বা বাভুমা (৩২)। বাভুমার চারের পর জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা। তবে এই টেস্টের আলোচনার বিষয় হয়ে থাকল ‘রিভিউ বিতর্ক’। তৃতীয় দিন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগারের লেগ বিফোরের সিদ্ধান্তকে ঘিরে ক্ষোভ দেখা দেয় কোহলিদের মাঝে। তবে চতুর্থ দিন তেমন কোনো উত্তেজনা দেখা দেয়নি।