অনলাইন ডেস্ক, ১৪ জানুয়ারি|| করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হলে গুরুতর অসুস্থতা দ্বিগুণ হতে পারে মানবদেহে এমন একটি জিন শনাক্তের দাবি করেছেন পোল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা।
রয়টার্স জানায়, এই আবিষ্কারের ফলে যেসব ব্যক্তি করোনার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাদের শনাক্ত করতে চিকিৎসকদের জন্য সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে করোনায় মৃত্যুর হার বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ টিকা গ্রহণে অনীহা। তাই যারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন, তাদের শনাক্ত করার মাধ্যমে টিকাগ্রহণে উৎসাহিত করা এবং আক্রান্ত হলে তাদের নিবিড়ভাবে চিকিৎসা দেওয়াও সম্ভব হবে আশা করছেন গবেষকরা।
পোল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাডাম নিডজিয়েলস্কি বলেন, ‘প্রায় দেড় বছরের গবেষণার পর করোনায় গুরুতর অসুস্থ হওয়ার এই প্রবণতার জন্য দায়ী জিন আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। ’
এই আবিষ্কারের সুফলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এর মানে ভবিষ্যতে আমরা সেসব মানুষকে শনাক্ত করতে সক্ষম হবো… যাদের করোনায় গুরুতর অসুস্থ হওয়ার এই প্রবণতা আছে। ’
মেডিকেল ইউনিভার্সিটি অব বিয়ালস্টকের গবেষকরা বলছেন, বয়স, ওজন এবং লিঙ্গের পর চতুর্থ যে গুরুত্বপূর্ণ কারণে একজন মানুষ কোভিডে গুরুতর অসুস্থ হতে পারেন, সেই জিন তারা আবিষ্কার করতে পেরেছেন।
এই গবেষণা প্রকল্পের ইনচার্জ মার্সিন মনিউসকো বলেছেন, পোল্যান্ডের জনগণের মধ্যে ১৪ শতাংশ মানুষের শরীরে এই জিন রয়েছে, যেখানে গোটা ইউরোপে এই হার ৮-৯ শতাংশ। ভারতীয়দের মধ্যে এই হার ২৭ শতাংশ।
এছাড়া অন্যান্য গবেষণায়ও কোভিডে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে জেনেটিক্যাল কারণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলা হয়েছে।
এর আগে গত নভেম্বরে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, করোনা আক্রান্ত হলে ফুসফুস অকেজো হওয়ার দ্বিগুণ ঝুঁকির জন্য দায়ী এক ধরনের জিন শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন তারা।