অনলাইন ডেস্ক, ১১ জানুয়ারি।। অপহরণের পর নাবালিকা মেয়েদের জবরদস্তি করে বয়স্ক পুরুষদের কাছে বিয়ের নামে কেনাবেচা চলছিল অনেকদিন ধরে। হরিয়ানার গৌতম বুদ্ধ নগরের ঘটনা। পুলিশ এই ঘটনায় তিন মহিলা সহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে।একটি চক্র এই ঘটনায় জড়িত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (মহিলা ও শিশু নিরাপত্তা) বৃন্দা শুক্লা জানিয়েছেন, স্থানীয় রবুপুরা পুলিশের দল একটি নিখোঁজ ১২ বছর বয়সী একটি মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে একটি চক্রের খোঁজ পায়। বৃন্দা শুক্লা আরও বলেন, চক্রটি অল্পবয়সী মেয়েদের তাদের সাথে চলে যাওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করত এবং তারপরে তাদের থেকে অনেক বয়স্ক পুরুষদের কাছে বিয়ের নামে মোটা অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করত।
গত বছর ২৬ ডিসেম্বর ১২ বছর বয়সী ওই মেয়েটির মা স্থানীয় পুলিশকে জানান যে তার মেয়ে তাদের বাড়ির বাইরে খেলছিল কিন্তু হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়। মেয়েটির মা অবিলম্বে একটি এফআইআর দায়ের করে। পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করে। এই মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে একটি গ্যাংকে খুঁজে পায় পুলিশ। পুলিশ দেখেছে যে কিছু মহিলাও এই গ্যাংয়ের সদস্য।
এই মহিলারা মেয়েটিকে তার বাড়ির বাইরে যেতে থেকে প্রলুব্ধ করে৷ পুলিশ জানতে পারে মেয়েটিকে হরিয়ানার একজন ৫২ বছর বয়সী ব্যক্তির কাছে ৭০০০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল৷ গৌতম বুদ্ধ নগর পুলিশ বলেছে, গ্যাংটি হরিয়ানার রোহতক থেকে কাজ করছে তবে অন্যান্য আশেপাশের এলাকা থেকেও নাবালিকাদের তুলে নিয়ে গেছে।
এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত আরও পাঁচজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।ডেপুটি কমিশনার বৃন্দা শুক্লা বলেন, শীঘ্রই তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। রবুপুরা থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।
এদিকে সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে- ‘হরিয়ানা রাজ্যের গ্রামগুলিতে বাস করা অনেক নাবালিকাদের কোন না কোন সময় তিনবারেরও বেশিবার বিয়ে দেওয়া হয়েছে’। গ্রামবাসীরা এদেরকে ডাকে ‘পারোস’ বলে। একটা অবমাননাকর শব্দ যা দ্বারা গ্রামবাসীরা বোঝাতে চায় তাদেরকে কিনে আনা হয়েছে।
এমনই একজন অভাগা মেয়ের নাম মোনালিসা। অপহরণ করে প্রথম যখন মুখলেসাকে বিক্রি করা হয়, তখন ওর বয়স ছিল ১২ বছর। যে লোকটা মুখলেসাকে কিনেছিল তার বয়স ছিল ৭০ এর কাছাকাছি। মুখলেসাকে কেনার কিছুদিনের মধ্যেই তার একটা বাচ্চা হয়। বছর তিনেক পর মুখলেসার বুড়ো মালিক মারা গেলে তাকে আবার বাজারে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়।