অনলাইন ডেস্ক, ১০ জানুয়ারি।। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশের বিষয়ে রাশিয়াকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, পুতিনকে সংলাপ বা সংঘাত- এই দুটির মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হবে। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র কূটনীতিক এবং সেনা কমর্কর্তারা গতকাল রবিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় নৈশভোজে বসেছিলেন। তার আগে এই হুঁশিয়ারি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এবিসির সংবাদবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘দিস উইক’-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে হুঁশিয়ারি দিয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা এ সপ্তাহে দেখব প্রেসিডেন্ট পুতিন কোন পথ নিতে চান।
এখন সত্যি এ প্রশ্নই আসছে যে প্রেসিডেন্ট পুতিন কূটনীতি বা আলোচনার পথ নেবেন না সংঘাত চাইবেন। ’
গতকালের নৈশভোজে পর আজ সোমবারের আনুষ্ঠানিক আলোচনা হবে। রাশিয়ার দাবি-দাওয়া নিয়েই হবে এ আলোচনা। গত মাসে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক খসড়া চুক্তিতে এই দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করে রাশিয়া।
এর অনেকগুলোই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে মেনে নেওয়া শক্ত। কারণ, এর মধ্যে একটি হলো ইউক্রেনকে কখনোই ন্যাটোর সদস্য করা যাবে না।
রাশিয়ার প্রধান উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ গতকালের নৈশভোজকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। জেনেভায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে এ নৈশভোজ হয়। রিয়াবকভ বলেন, ‘আলোচনা জটিল ছিল।
কিন্তু এটা কাযর্কর হয়েছে। আগামীতে যেসব বিষয় নিয়ে কথা হবে, আমরা তার দিকে দৃষ্টিপাত করেছি। আমি মনে করি, কাল (আজ) আমরা সময় নষ্ট করব না। আমি কখনো আশা ছাড়ি না। আমি সব সময় আশা নিয়েই থাকি। ’
আলোচনায় মার্কিন প্রতিনিধিদলের প্রধান উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েনডি শেরম্যান সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা এবং সার্বভৌম দেশগুলোর জোটসঙ্গী বেছে নেওয়ার স্বাধীনতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিগুলোর ওপর জোর দেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে।