অনলাইন ডেস্ক, ১০ জানুয়ারি।। টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা যাবে না। টিকা সার্টিফিকেট নিয়ে কড়াকড়ি করা যাবে না। এমন দাবিতে রবিবার পুরো ইউরোপজুড়ে মিছিল ও প্রতিবাদসভা হয়েছে। ফলে করোনা সংক্রমণ আরও বেড়েছে।
ব্রাসেলস থেকে অস্ট্রিয়া, চেক রিপাবলিক থেকে জার্মানি, ফ্রান্স এবং ইতালি- সর্বত্র প্রতিবাদসভা আয়োজিত করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ মাস্ক না পরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন। তাদের দাবি, ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট নিয়ে কড়াকড়ি করা যাবে না।
যারা ভ্যাকসিন নেননি, তাদেরও সব জায়গায় যেতে দিতে হবে। কোভিডবিধি নিয়ে কড়াকড়ি করা যাবে না। এবং কোনো কোনো পেশার ক্ষেত্রে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করার যে পরিকল্পনা করছে বিভিন্ন দেশের সরকার, তা বাতিল করতে হবে।
এদিকে গত কয়েকদিনে ইউরোপের একাধিক দেশে করোনা ব্যাপক হারে বেড়েছে। বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। চিকিৎসকরা বলছেন, যাদের ভ্যাকসিন নেওয়া নেই, তারাই এবার হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছেন।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে রবিবার প্রায় পুরো দিন ধরেই প্রতিবাদ চলে। প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ মাস্ক না পরে সেই প্রতিবাদসভায় অংশ নেন। তাদের হাতের পোস্টারে লেখা ছিল, টিকা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না।
‘ভ্যাকসিন একনায়কতন্ত্র’ বন্ধ করতে হবে। বস্তুত, বেলজিয়ামে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট না দেখালে রেস্তোরাঁ, পাব, বারে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। একেই টিকা একনায়কতন্ত্র বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
শনিবারেও বেলজিয়ামে প্রতিবাদসভা হয়েছে। রবিবারের সভা থেকে প্রথমে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের হাতে আতসবাজি ছিল। পরে পুলিশের উপর আক্রমণের অভিযোগে আরো ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে গত এক সপ্তাহে বেলজিয়ামে হাসপাতালে ভর্তির হার ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিড বেড়েছে ৯৬ শতাংশ।
চেক রিপাবলিকের রাজধানী প্রাগেও হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। সম্প্রতি চেক রিপাবলিকের সরকার একটি নতুন নিয়ম চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে। পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী, দমকলকর্মী, ছাত্রদের টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে।
৬০ বছরের উপরের ব্যক্তিদেরও টিকা বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হবে। এরই প্রতিবাদে রোববার রাস্তায় নামে টিকাবিরোধী জনগণ। তাদের স্লোগান ছিল ‘স্বাধীনতা চাই’। দ্রুত নতুন প্রস্তাব ফিরিয়ে নিতে হবে বলে জানিয়েছে তারা।