অনলাইন ডেস্ক, ৯ জানুয়ারি।। দশম শিখ গুরু গোবিন্দ সিংয়ের জন্মদিনে বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । রবিবার সকালে টুইট করে একথা জানালেন তিনি। এবার থেকে ২৬ ডিসেম্বর দিনটি পালিত হবে ‘বীর বাল দিবস’ হিসেবে।
টুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ গুরু গোবিন্দ সিংয়ের জন্ম জয়ন্তীতে আমি জানাতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি যে এই বছর থেকে প্রতিবছর ২৬ ডিসেম্বর দিনটিকে বীর বাল দিবস হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।’ গুরু গোবিন্দ সিং-এর পুত্র তথা দেশের বীর যোদ্ধাদের সাহস ও ন্যায়ের খোঁজকে শ্রদ্ধা জানতেই ‘বীর বাল দিবস’ পালনের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী টুইট করে আরও জানান, ‘বীর বাল দিবস সেইদিনই পালিত হবে যেদিন সাহিবজাদা জোরাবার সিং এবং সাহিবজাদা ফতে সিংকে জীবিত অবস্থায় দেওয়ালে গেঁথে দেওয়া হয়েছিল। এই দুই মহাপুরুষ ধর্মের মহৎ নীতি থেকে বিচ্যুত না হয়ে মৃত্যুকে পছন্দ করেছিলেন।’
শিখদের দশম গুরু গোবিন্দ সিং যোদ্ধা খালসা বংশের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মাত্র ৯ বছর বয়সে বাবা গুরু তেগ বাহাদুরের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। একাধারে তিনি ছিলেন নেতা, যোদ্ধা, কবি ও দার্শনিক।
বলা যায়, আদর্শ পৌরুষের দৃপ্ত প্রতীক হিসেবে তাঁকে দেখা হয়। পঞ্চ ‘ক’ তথা কেশ, কৃপাণ, কচ্ছ, কঙ্গ, করা -ঐতিহ্যের প্রচলনের পাশাপাশি শিখধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থসাহিবকে শিখদের পরবর্তী ও চিরস্থায়ী গুরু হিসেবে ঘোষণাও করেন গোবিন্দ সিংই। আজও তাঁর আদর্শ মেনে চলেন শিখরা।
বীর বাল দিবস ঘোষণা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি পাঞ্জাব কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ পঞ্জাবের জনগণের মন জয়ের মরিয়া চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী।