স্টাফ রিপোর্টার, জিরানীয়া, ৫ জানুয়ারি।। জিরানীয়া নগরপঞ্চায়েত এবং রাণীরবাজার পুর পরিষদ এলাকার প্রতিটি বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয়জল সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। জিরানীয়া এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের রূপায়ণের কাজও দ্রুত শেষ করতে হবে।
জিরানীয়া মহকুমা শাসকের কনফারেন্স হলে আজ জিরানীয়া মহকুমা ভিত্তিক এক পর্যালোচনা সভায় একথা বলেন তথ্য ও সংস্কৃতি, পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে জিরানীয়া নগরপঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন রতন কুমার দাস, রাণীরবাজার পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন অপর্ণা শুরুদাস, জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ, জিরানীয়ার মহকুমার শাসক জীবন কৃষ্ণ আচার্য, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুমন মজুমদার, জিরানীয়া ব্লকের বিডিও উৎপল চাকমা, সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক, সমাজসেবী অভিজিৎ দেববর্মা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পর্যালোচনা সভায় খাদ্য দপ্তরের প্রতিনিধি জানান, আগামী ২৭ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাধববাড়ির খাদ্য গোদামে ৩ এবং ৪ ফেব্রুয়ারি পুরাতন আগরতলা ব্লকের কৃষ্ণমালা মুক্তমঞ্চে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হবে।
কৃষি তত্ত্বাবধায়ক জানান, মাধববাড়ি খাদ্য গোদামে ১৫০ মেট্রিক টন এবং কৃষ্ণমালা মুক্তমঞ্চে ৭০০ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের শিশু উন্নয়ন প্রকল্প আধিকারিক জানান জিরানীয়া আইসিডিএস প্রকল্পের অধীনে ৫,৪৩৩ জন বিভিন্ন ভাতা পাচ্ছেন।
এরমধ্যে জিরানীয়া ব্লক এলাকার ৪,৮০৪ জন এবং জিরানীয়া নগরপঞ্চায়েত এলাকায় ৬২৯ জন রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী শ্রদ্ধাঞ্জলী যোজনায় এখন পর্যন্ত ১২ জন উপকৃত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মাতুবন্ধনা যোজনায় উপকৃত হয়েছেন ১,৫৭৭ জন। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের প্রতিনিধি জানান, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে ৫,০৯৬ জন কৃষক উপকৃত হয়েছেন।
যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের প্রতিনিধি জানান, এই মহকুমায় বর্তমানে ১১টি কোচিং সেন্টার রয়েছে। তিনি জানান খুব শীঘ্রই মহকুমার বিভিন্ন ক্লাবগুলিকে বিভিন্ন ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান করা হবে। কোচিং সেন্টারগুলিতে খেলোয়াড়দের যেন নিয়মিত কোচিং দেওয়া হয় তার জন্য ক্রীড়ামন্ত্রী নির্দেশ দেন।
বিদ্যুৎ দপ্তরের কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনায় তথ্য মন্ত্রী বলেন, এখনও যাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি তাদের বাড়িতে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দিতে হবে।
তিনি বলেন, রাজ্যের সব অংশের মানুষের আর্থসামজিক অবস্থার উন্নয়নে রাজ্য সরকার কাজ করছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যেসব কর্মসূচি রয়েছে তা আন্তরিকতার সঙ্গে দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।