স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ২৭ ডিসেম্বর।।
রেশন দোকান থেকে আনা চাল প্লাস্টিকের, আতঙ্কগ্রস্থ সাধারণ জনগণ। ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমা খাদ্য জনগণ ও ভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের অধীনে করইলং এলাকায়।
সংবাদে জানা যায়, তেলিয়ামুড়া মহকুমার খাদ্য, সংভরণ ও ভোক্তা বিষয়ক দপ্তর এর অধীনে করইলং এলাকার কয়েকজন রেশন ভোক্তারা করইলং ২ নং রেশন দোকান চাল ক্রয় করে এনেছিল। বাড়িতে আনার পর চাল গুলি ধোঁয়ার সময় ভোক্তারা দেখতে পায় চাল গুলির জলের উপরে ভেসে উঠছে। তারপরও চাল রান্না করে খেয়ে অসুস্থ হয়েছিল। রেশন সুবিধা ভোগীদের অভিমত চাল আগুনে পোড়ালে বিশ্রী গন্ধ এবং চালগুলো কালো হয়ে যাচ্ছে।
পরে রেশন ডিলার তথা সুবীর শীল কাছে পুরো ঘটনাটি তুলে ধরে সুবিধাভোগীরা। সুবিধাভোগীদের অভিযোগ চাল গুলি প্লাস্টিকের। প্লাস্টিকের চাল এর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা করইলং এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে রেশন কার্ড বক্তারা পরে রেশন দোকানে ডিলারের সাথে কথা হলে ডিলার জানিয়ে দেয় চাল গুলো মিড ডে মিলের চাল।
চাল রাখার মজুত খানায় হয়ত ভুলক্রমে এসেছে রেশনের দোকানে । এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে রেশন ডিলার সুবীর শীল জানায়,চাল গুলির মধ্যে চার ধরনের ভিটামিন রয়েছে। এদিকে তেলিয়ামুড়া মহকুমার খাদ্য জন সংভরণ ও দপ্তরের আধিকারিক বুট্টু দেববর্মা সাথে কথা হলে তিনি জানান, যে প্লাস্টিক চাল এর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সেটা সম্পূর্ণ ভুল।
এই চাল গুলি কেন্দ্রীয় সরকার প্রাথমিক মি ডে মিল এবং শিশু সুসংহত শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ফটি ফায়েড চালের বিতরণ শুরু করেছে। এই চালে মধ্যে থাকছে আয়রন,জিংক ভিটামিন বি ১২, ফলিক এসিড ইত্যাদি মাইক্রোনিউ টিয়েন্ট উপাদান চালের সঙ্গে গ্রইডি্ং করে ফর্টিফায়েড চালের আশ তৈরি করা হয়। যা মানুষের ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরো বলেন এই চাল গুলি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।এদিকে গোটা এলাকা জুড়ে প্লাস্টিক চালের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। এখন দেখার বিষয় প্রশাসনিক উদ্যোগে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, ভোক্তাদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য।