অনলাইন ডেস্ক, ২৫ ডিসেম্বর।। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, মিয়ানমারের কায়াহ প্রদেশে ৩০ জনকে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার পর থেকে তাদের দুই কর্মীর হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
বিশ্বব্যাপী শিশু কল্যাণে নিয়োজিত সংস্থাটি শনিবার জানায়, তাদের কর্মীরা কাজ শেষে আক্রান্ত মো সো গ্রামে ফিরছিলেন, এরপর থেকে তারা নিখোঁজ।
সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে তাদের ব্যক্তিগত বাহনে আক্রমণ হয়েছে ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে খবর আসে মিয়ানমারের কায়াহ প্রদেশে নারী-শিশুসহ ৩০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিককে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন শনিবার হাপ্রুসো শহরের মো সো গ্রামের কাছে সেনাবাহিনীর হাতে নিহত বৃদ্ধ, নারী, শিশুসহ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের পোড়া মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে জানায়।
সংগঠনটি তাদের ফেসবুক পেজে এক বার্তায় বলেছে, ‘আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী অমানবিক ও নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। ’
ওই অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দা, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও মানবাধিকার সংগঠনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার দেশটির কায়াহ প্রদেশে সেনা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় এ ঘটনা ঘটে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বলেছে, সেনাবাহিনী ওই গ্রামে বিরোধী সশস্ত্র বাহিনীর বেশ কয়েকজন ‘অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে’ গুলি করে হত্যা করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্রধারীরা সাতটি গাড়িতে ছিলেন এবং সামরিক বাহিনীর নির্দেশের পরও তারা থামেননি। এ বিষয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পায়নি রয়টার্স।
তবে স্থানীয় কারেনি ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স জান্তাবিরোধী বেসামরিক মিলিশিয়াদের অন্যতম বড় সংগঠন। তারা বলছে, নিহত ব্যক্তিরা তাদের সদস্য নন, বরং সংঘাত থেকে রক্ষা পেতে আশ্রয় নেওয়া বেসামরিক নাগরিক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই গ্রুপের এক কমান্ডার রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা ভীষণ হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম— সব মৃতদেহই শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের। ’
গত ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেই থেকে বন্দী আছেন সু চিসহ তার দলের নেতারা। অভ্যুত্থানের পরপরই দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মিয়ানমারে ১৩শ’ মানুষ তারা গেছে।