স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৬ ডিসেম্বর।। শিশুদের আদর্শ জীবনশৈলী এবং ইতিবাচক চারিত্রিক গঠনে মায়েদের অগ্রনী ভূমিকা রয়েছে। সংস্কার ও পরম্পরাগত সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি শিশুদের আধুনিক ব্যবস্থার উপযোগী করে গড়ে তোলা প্রয়োজন।
আজ এগিয়ে চলো সংঘের ৩৩তম শিশু মেলার উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। আজ এই অনুষ্ঠানে এগিয়ে চলো সংঘের পক্ষে দুজন যুব ক্রীড়াবিদ ও বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রছাত্রীদের জন্য কাজ করা বিদ্যা ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে আর্থিক সম্মাননা প্রদান করা হয়।
উমাকান্ত স্কুলের উপজাতি ছাত্রাবাসের আবাসিক জনজাতি ছাত্রদের ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিশুদের উপযোগী সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ নির্মাণের লক্ষ্যে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এই ভাবনায় সরকার কাজ করছে।
শিশুদের সুঅভ্যাস ও ইতিবাচক চারিত্র গঠনে মায়েদের আরও বেশি যত্নশীল হওয়া আবশ্যক। রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্র সহ ঐতিহ্যমন্ডিত নানান পরম্পরাগত ছবি শিশুমনে স্থাপনের মাধ্যমে তাদের মধ্যে কৌতুহলি ভাবনা জাগ্রত করা সম্ভব। এরফলে শিশু মনে কোন কিছু সম্পর্কে জিজ্ঞাসার ভাবনা আরও বেশি জাগ্রত হবে।
এক্ষেত্রে নিজেদের বিভিন্ন প্রবহমান ঘটনাবলী সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন করতে হবে এবং এই অভিজ্ঞতা থেকে শিশুদের সঠিক দিশায় নিয়ে যেতে ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে অভিভাবকদের। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সমাজ সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে রাজ্যের ক্লাবগুলি। আগামীদিনে ক্লাবগুলিকে আরও বেশি করে সামাজিক কর্মসূচিতে নিজেদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুমন্ত গুপ্ত বলেন, ক্রীড়া ও সামাজিক ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করে কাজ করছে এগিয়ে চলো সংঘ। এক্ষেত্রে মহিলাদের ক্রিকেট টিম গঠন সহ সহায়ক অন্যান্য পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে।
ক্রীড়াক্ষেত্রে ফুটবল, ক্রিকেট, মহিলা ক্রিকেট, খেলোয়াড়দের সম্মানিক প্রদান, হ্যান্ডবল, ভলিবল সহ বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। জেলাভিত্তিক কিক বক্সিং প্রতিযোগিতা ও ভারত বাংলা ছবি কবিতা উৎসব করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্যে নিজেদের যুক্ত রাখতে বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি হয়ে থাকে। অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবারের মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রেও সর্বত্র সহযোগিতার আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠান শেষে এগিয় চলো সংঘের ব্যায়ামাগার পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের ৩২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শিল্পী সেন, সমাজসেবক রূপক সাহা, ক্লাব সভাপতি চঞ্চল নন্দী প্রমুখ। এর আগে বিভিন্ন সাজে সজ্জিত শিশুদের নিয়ে একটি সুসজ্জিত র্যালি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।