অনলাইন ডেস্ক, ২৪ ডিসেম্বর।। উইঘুরের দাস-শ্রমিকদের উৎপাদিত পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করে বৃহস্পতিবার একটি প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর মাধ্যমে প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট নিয়ে বছর খানেক ধরে আলোচনার পর গত সপ্তাহে কংগ্রেসের চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
এই আইন অনুযায়ী চীনে জিনজিয়াং অঞ্চল থেকে সব রকমের আমদানি শর্তাধীন হয়েছে।
এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে ‘স্পষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ দিতে হবে যে, তাদের সরবরাহ ব্যবস্থায় চীনা বন্দী শিবিরে ক্রীতদাস হিসেবে আটক মুসলিম জাতিগোষ্ঠীর লোকদের ব্যবহার করা হয়নি। নইলে ওই পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ।
ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, আইনটি ক্যাপিটল হিলে দ্বিদলীয় সমঝোতার একটি ব্যতিক্রমী দিক। প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ডেমোক্রেটিক ন্যানসি পেলসি ভোটের আগেই এই আইনের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, এর ফলে জিনজিয়াং ও ওই অঞ্চলে চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে নিন্দা জানানো এবং চীনকে জবাবদিহি করানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসকে একটা সুযোগ প্রদান করেছে। আমেরিকা যদি বাণিজ্যিক স্বার্থের কারণে চীনে মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার না হয়, তা হলে আমরা বিশ্বের যে কোন স্থানে মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলার নৈতিক অধিকার হারাবো।
যদিও বেইজিং এই শিবিরগুলোকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার জন্য ‘পুনরায় শিক্ষা প্রদানের’ স্থাপনা বলে বর্ণনা করে থাকে।
ফেব্রুয়ারিতে বেইজিং-এ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শীতকালীন অলিম্পিকের আগে অধিকার লঙ্ঘনের জন্য চীনের জবাবদিহির বিষয়টি নতুন করে উঠে আসলো। চলতি বছরের গোড়ার দিকে উইঘুরদের প্রতি চীনের আচরণকে যুক্তরাষ্ট্র গণহত্যা বলে ঘোষণা করে।
গত সপ্তাহে শীতকালীন অলিম্পিক কূটনৈতিকভাবে বর্জনের ঘোষণা দিলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শামিল হয় একাধিক দেশ।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে একটি নিরপেক্ষ ট্রাইব্যুনাল উইঘুরদের ওপর গণহত্যা চালানোর জন্য চীনের শীর্ষ নেতৃত্বকে ‘প্রাথমিকভাবে’ দায়ী বলে চিহ্নিত করে। চীন ওই আইনের নিন্দা করে এবং নিজেদের সীমান্তের ভেতরে বাধ্যতামূলক শ্রমের বিষয়টিতে নজর না দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ভণ্ড বলে অভিহিত করে।