স্টাফ রিপোর্টার, বিশালগড়, ২৩ ডিসেম্বর।। রাজ্যের একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কমলাসাগর কসবাকালী মন্দির। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা ভিড় জমাতো মন্দির চত্বরে। বনভোজন পিপাসুরা বনভোজনের স্থান হিসাবে ব্যবহার করত মন্দির প্রাঙ্গণ, তার পার্শ্ববর্তী এলাকা তাছাড়া দিঘীরপাড়।
বর্তমানে দেখা যাচ্ছে তার উল্টো চিত্র, পর্যটক শূন্য হয়ে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী কসবা কালী মন্দির চত্বর কিন্তু কেন তা নিয়ে দেখুন আমাদের এই বিশেষ প্রতিবেদন..কমলাসাগর মন্দির প্রাঙ্গণে রয়েছে কুমিল্লাভিউ টুরিস্ট লজ তার পাশেই রয়েছে অসীমান্তিক ক্যাফেটেরিয়া যার বিভিন্ন ফুলের বাগান সহ নানান শোভা দায়ক গাছ আলোকিত করে রাখত মন্দিরের চত্বর।
কিন্তু বর্তমানে ক্যাফেটেরিয়া সহ কুমিল্লাভিউ টুরিস্ট লজটি তুলে দেওয়া হয়েছে বেসরকারি মালিকের হাতে। কিন্তু বর্তমানে মন্দির চত্বরের শোভা দায়ক ফুলের বাগান রকমারি গাছ আর পর্যটক এর চোখে পড়ছেনা।
বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ক্যাফেটেরিয়া পাশাপাশি কুমিল্লা ভিউ। আরো অভিযোগ সেই টুরিস্ট লজ সরকারের হাতে থাকা কালিন সময়ে রাজ্য বহিরাজ্য এবং বিদেশ থেকে অনেক পর্যটকরা সেখানে আসতো এবং নিরাপদে থাকতে পারতো।
সরকারি মূল্য হিসেবে প্রতিটি কক্ষ 860 টাকা ভাড়া দেওয়া হত কিন্তু বেসরকারি মালিকের হাতে দেওয়ার ফলে তাদের মুনাফা অর্জন করার লক্ষ্যে প্রতিটি কক্ষ সরকারি মূল্য থেকে বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুন করে দেয় বর্তমানে একটি কক্ষ নিতে হলে 1500 টাকা দিতে হয়। অন্যদিকে নিন্দুকেরা বলছে যে মালিক সরকারের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছে তিনি কোন বাণিজ্য করতে আসেনি কিংবা পর্যটকদের স্বার্থে কাজ করার জন্য আসেনি এলাকার সুনাম নষ্ট করার জন্য মেতে উঠেছে।
অন্যদিকে পর্যটকের পকেট থেকে কাটা হচ্ছে তিন-চার গুণ গাড়ি পার্কিং খরচ এ বিষয়ে স্থানীয় দোকানদার থেকে জানতে চাইলে সোসাইটির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে রাস্তার এমনই অবস্থা দিনের বেলায় বাইক গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে যান চালকদের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণের অভিমত এমন অবস্থা চলতে থাকলে ঐতিহ্যবাহী কসবা কালী মন্দির পর্যটক শূন্য হতে পারবে আর বেশিদিন সময় লাগবে না তার পাশাপাশি কমিল্লা ভিউ টুরিস্ট লজ কোন পর্যটকদের আসা যাওয়া ও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে আগামী দিনে তা কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখে না।