অনলাইন ডেস্ক, ২২ ডিসেম্বর|| ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। ইউরোপের কিছু দেশ কড়া নিষেধাজ্ঞায় গেছে, ঘোষিত হয়েছে লকডাউন। তবে এখনো পর্যন্ত লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর বিবিসি।
মঙ্গলবার তিনি জানান, সমন্বিত পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যেসব হাসপাতালে সংকট রয়েছে সেখানে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের প্রেরণ করছেন। সারা দেশে চিকিৎসা সরঞ্জামের মজুত পূর্ব-অবস্থানে রেখেছেন ও বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য ৫০ কোটি কভিড টেস্ট কিট সরবরাহ করছেন।
হাসপাতালগুলোতে সামরিক সহায়তার ব্যবস্থার করার পাশাপাশি এখন পর্যন্ত লকডাউনে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলেন জানান বাইডেন। তিনি বলেন, এটা ২০২০ সালের মার্চ নয়। আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা এখন অনেক বেশি জানি।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ওমিক্রন বেশ প্রভাব বিস্তার করছে। নতুন সংক্রমিতের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ ভাইরাসের এ ধরনে আক্রান্ত।
সোমবার রেকর্ড এক লাখ ৪৩ হাজার জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে, আর মারা গেছে এক হাজার ৩০০ জন।
সংক্রমণের হার দ্রুত হলেও যুক্তরাষ্ট্রে ওমিক্রনের সঙ্গে যুক্ত একটি মৃত্যু রেকর্ড হয়েছে। টেক্সাসের হ্যারিস কাউন্টিতে টিকা না নেওয়া ৫০ বছরের ওই ব্যক্তি মারা গেছেন।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে যারা টিকা নিয়েছে, তাদের মাধ্যমেও ওমিক্রন ছড়াতে পারে, তবে অসুস্থতার প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম হবে।
বক্তৃতা দেওয়ার সময় বাইডেনের মুখে মাস্ক ছিল না, কাশি দিতেও তাকে দেখা যায় তাকে। এ সময় আমেরিকানদের নিজেদের রক্ষা করতে এবং টিকা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এটাও স্বীকার করেন টিকাপ্রাপ্তরা ঝুঁকিতে থাকলেও টিকা না দেওয়াদের ‘হাসপাতালে যাওয়ার বা এমনকি মারা যাওয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি’।
তিনি বলেন, ‘যদি আপনি সম্পূর্ণরূপে টিকা না পান তবে আপনার উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ আছে। ’
দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র বলছে, এ পর্যন্ত প্রায় ৭৩ শতাংশ আমেরিকান সম্পূর্ণরূপে টিকা নিয়েছেন, যা ২০২১ সালের শুরুতে ১ শতাংশেরও কম ছিল। এ ছাড়া প্রায় সোয়া ৬ কোটির মতো মানুষ লোক বুস্টার শট পেয়েছে।
তবে প্রায় ৫ কোটির মতো আমেরিকান এখন পর্যন্ত কোনো টিকা নেননি, তাদের মধ্যে অনেকেই টিকা বিষয়ে সরকারের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এটি তাদের নিজস্ব চিকিৎসা পছন্দ করার স্বাধীনতাকে লঙ্ঘন করে।