অনলাইন ডেস্ক, ২১ ডিসেম্বর|| অং সান সু চি-সহ সব রাজনীতিবিদদের মুক্তি এবং গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতায় ফেরানোর দাবিতে মিয়ানমারে বিক্ষোভ চলছে গত ফেব্রুয়ারি থেকে। এর বাইরে জঙ্গলে চলছে সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চি ও তার দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করে ক্ষমতার দখল নেয় সেনাবাহিনী। তারপর থেকেই দেশ জুড়ে চলছে সেনাসরকার-বিরোধী বিক্ষোভ।
স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ১৩০০ বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন। তাই বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ মনে করছে, এখন সশস্ত্র সংগ্রামও দরকার। তাই কারেন প্রদেশের জঙ্গলে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তারা।
মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলের কারেন প্রদেশের থাইল্যান্ড সীমান্ত সংলগ্ন জঙ্গলের প্রশিক্ষণ শিবিরে রয়েছেন কয়েকশ বেসামরিক নাগরিক। ঘরে তৈরি বোমা ছুঁড়ে মারা এবং রাইফেলে গুলি ভরার প্রশিক্ষণ নিতে দেখা গেছে তাদের। প্রশিক্ষণরতদের মধ্যে এমন তরুণও আছেন যারা সরকারে ভালো বেতনের চাকরি করতেন। অনেক কষ্টার্জিত গণতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটানো সেনা-সরকারের পতন ঘটাতে অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছেন তারা।
পাহাড়ের গহিন জঙ্গলে ছোট ছোট অস্থায়ী তাঁবুতে থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন কয়েকশ তরুণ। ৩৪ বছর বয়সি এক সাবেক ফিটনেস ট্রেনারও তাদের একজন সারা শরীরে লিখে রেখেছেন ‘ফ্রিডম টু লিড’, পিঠে রয়েছে অং সান সু চি-র অবয়বের বিশাল এক ট্যাটু।
মিয়ানমারের তিন লাখ সদস্যের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছে সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে আসা কিছু মানুষ। বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ রয়েছেন সেখানে। তাই তারা সম্মিলিতভাবে নিজেদের নাম দিয়েছেন পিপল ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)। তারা মূলত কারেন প্রদেশের জঙ্গলে গিয়ে এই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
পিডিএফ-এর সশস্ত্র সংগ্রামের অঙ্গীকারের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় সশস্ত্র জাতিগত সংগঠন কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ)। কারেন প্রদেশে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে আশ্রয় দিয়েছে তারা। পিডিএফ সদস্যদের জঙ্গলে প্রশিক্ষণও দিচ্ছে কেএনইউ।